নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে পানিপান করার কথা বলে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি, মারধর, ১৫ হাজার টাকা চুরি ও দেড় লাখ টাকার আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের দাড়িপাড়ায় এই ঘটনার পর ভুক্তভোগীর শাশুড়ি বাদী হয়ে বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
আসামি একই এলাকার আল-আমিন ও তার ছেলে রিয়েল হোসেন।
বাদী ভাতুড়িয়া গ্রামের দাড়িপাড়া মৃত নায়েব আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম মামলায় বলেছেন, তার ছেলে জসিম মোড়ল ইজিবাইক চালিয়ে সংসার দেখাশুনা করে। বাদী এবং আসামিদের বাড়ি একই এলাকায়। আসামি রিয়েল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বাদীর পুত্রবধূ সীমা খাতুনের প্রতি কুদৃষ্টি দিতে থাকে। বিষয়টি রিয়েলের বাবাকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। প্রতিদিনের মতো ১৮ জুন বিকেলে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় জসিম। পাশাপাশি জসিমের মা আত্মীয় বাড়িতে ছিলেন। সুযোগ বুঝে রিয়েল ওইদিন রাত ৯টার দিকে বাদীর বাড়িতে যায়। এসময় বাদীকে খোঁজ করে। কিন্তু বাড়িতে নেই এই কথাটি রিয়েলকে জানায় সীমা খাতুন। এসময় পানি পানের কথা বলে রিয়েল ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। রিয়েল সাথে সাথে ঘরের ছিটকিনি আটকে দিয়ে সীমা খাতুনের শ্লীলতাহানি ঘটানোর চেষ্টা করে। এসময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসতে শুরু করলে ঘরে থাকা ১৫ হাজার টাকা নিয়ে রিয়েল পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রিয়েলের বাবা আল-আমিন সেখানে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে খুন করার হুমকি দেন সীমাকে। এছাড়া তার হাতে থাকা একটি কাঠের বাটাম দিয়ে সীমা খাতুনের মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে আল-আমিন। এতে মারাত্মক জখম হন সীমা। এরপরে ঘরে থাকা টেলিভিশন, আলমারি, সোকেসসহ বিভিন্ন প্রকারের মালামাল ভাঙচুর করে আরো দেড় লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এরপরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সীমাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্বাআলো/এস