সম্পাদকীয়:নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে এক একজনকে তার মাকে মারধর করার দায়ে চার মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দ-প্রাপ্ত আনোয়ার হোসেন (৪৪) উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
২০ মার্চ এ দ- দেয়া হয়।
কিছু দিন আগে আনোয়ার গাঁজার টাকার জন্য তার মাকে মারধরে করে। এরপর গাঁজার টাকা জোগাড় করতে বাড়ির গাছ ও ঘরের টিন খুলে বিক্রি করে দেয়। তার মা সমাজের মানুষের সহায়তায় চলে। তার পরিবার তাকে অনেক কষ্ট করে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনে দেয়। সে রিকশাটিও বিক্রি করে দেয়। বর্তমানে সে জোর করে জমি বিক্রি করার চেষ্টা করছে। ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার মা অন্যত্র বসবাস করে আসছে।
সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থান গ্রহণ করলেও ফল কিন্তু সন্তোষজনক নয়। কোন কিছুতেই মাদক ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না। এ ব্যবসাকে ডেডস্টপ করতে হবে। এদের যদি দমন করা যেত তা হলে এতদূর এগোতে পারতো না। বিকশিত হবার আগেই হারিয়ে যায়, কত উদীয়মান প্রতিভা। বিধবা হয় কত নারী, কত শিশু এতিম হয়। মাদকাসক্তরা পরিবার সমাজে অস্বাভাবিক জীবনযাপনের শিকার হয়।
মাদককে জাতীয় জীবনের অন্যতম সমস্যা। কিন্তু মাদক ব্যবসা থেমে নেই । মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও পুলিশ বিভাগকে এর বিরুদ্ধে কঠোর ভূকিকা নিতেও দেখা যাচ্ছে, কিন্তু তার পরও কেন এ অবস্থা তা ভাববার বিষয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাদক ধরছে, ধ্বংস করছে, বহনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবু এ মাদকটির স্রোত থামছে না। দেশের প্রাণশক্তি যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। মাদককে যে কোন মুল্যে বন্ধ করতে হবে।
মাদক রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, যারা মাদক ব্যবসা ছাড়বেন না তাদের ভয়াবহ বিপদে পড়তে হবে। আর মাদক ব্যবসা ছাড়লে সরকার সহযোগীতা করবে। বাংলাদেশকে উন্নত ও উচ্চ আয়োর দেশে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। তাই কর্মক্ষম যুবশক্তিকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে হবে।
স্বাআলো/এস