তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে
সম্পাদকীয়: দেশের ছয় বিভাগ ও দুই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এটি অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে রয়েছে তাপমাত্রা বাড়ার আভাস। তবে কোনো বিভাগেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ১৫ এপ্রিল এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাঙামাটিতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এতে বলা হয়েছে, রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের আটটি, ঢাকার ১৩টি, খুলনার ১০টি, বরিশালের ছয়টি, চট্টগ্রামের ১১টি ও সিলেট বিভাগের চারটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও রাতে সামান্য বাড়তে পারে।
বৃষ্টির আভাস নেই, বাড়তে পারে তাপমাত্রা
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
অতিরিক্ত গরমে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় স্বাস্থ্যঝুঁকি। এ সময় ব্যক্তিগত সতর্কতা জরুরি। সরাসরি রোদে যত কম যাওয়া যায় সে চেষ্টা করতে হবে। বাইরে বেশি ঘোরাঘুরি করলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। রোদে গেলে মাথায় চওড়া ক্যাপ, স্কার্ফ অথবা ছাতা দিতে হবে। পানিশূন্যতায় মানুষের হৃৎপিণ্ড ও নাড়ির গতি বেড়ে যায়। এতে মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব হতে পারে। কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে যান। এ অবস্থাকে বলা হয় হিট স্ট্রোক। এ অবস্থা যাতে না হয় সে জন্য সতর্কতা দরকার। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত ছায়াময় জায়গায় নিয়ে চোখেমুখে পানি দিতে হবে। শরীরের কাপড় ঢিলে করে দিতে হবে। পাশাপাশি স্যালাইন ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করাতে হবে।
খুলনাসহ ছয় বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ
গরমে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনলেও কিছুটা স্বস্তির দেখা মিলতে পারে। বিশেষ করে ফলমূল ও পানির অভাব পূরণ করে এমন খাবার খেতে হবে। সাদা রঙের পোশাক সবচেয়ে ভালো। তাতে গরম অনেকটা কাটবে। গাঢ় রঙের পোশাকে গরম বেশি অনুভূত হয়। এ সময় সিনথেটিক কাপড়ের পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে। সুতি ও লিনেনের ঢোলাঢালা পোশাক গরমে উপকারী।
প্রচণ্ড গরমে কিছু ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গিয়ে মামস, জলবসন্ত, ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। বয়স্ক, শিশু এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেমন, গর্ভবতীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
স্বাআলো/এস