ঢাকা অফিস: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সাজেক পর্যটন এলাকায় পাহাড় কেটে রিসোর্টের সুইমিংপুল নির্মাণ বন্ধের আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এ আদেশ দেয়।
সেইসঙ্গে অননুমোদিত পাহাড় কাটায় জড়িতদের কেন বিচারের আওতায় আনা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিচ ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এই রিট আবেদন করে। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এইচআরপিবি’র চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, সাজেকে পাহাড় কেটে সুইমিংপুল নির্মাণের কাজ করছে ‘মেঘপল্লী রিসোর্ট’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট ও পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে। আদালত এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে সুইমিংপুল নির্মাণ কাজ বন্ধসহ সাজেক ও আশপাশ এলাকায় অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটা বন্ধের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া অননুমোদিত পাহাড় কাটায় যারা জড়িত আছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ারও আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, পাহাড় কেটে সুইমিংপুল নির্মোণের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য যুগ্ম সচিবের নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাজেকসহ আশপাশের এলাকায় পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন আদালত।পরিবেশ ও বন ও মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৮ মার্চ ‘সাজেকে পাহাড় কেটে সুইমিংপুল’ শিরোনামে পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, সমুদ্রপৃষ্ট থেকে এক হাজার ৮০০ ফুট উপরে পাহাড় কেটে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে মেঘপল্লী রিসোর্ট নির্মাণ করছে সুইমিংপুল। প্রকাশ্যে অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে সাজেকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে পাহাড় ধসের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার রুইলুই, হামারি এবং কংলাক এই তিনটি পাড়া নিয়ে সাজেক পর্যটনকেন্দ্র। নয়নাভিরাম প্রকৃতির সবুজে ঘেরা ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড় ও মেঘের অপূর্ব মিলনের জন্যই সাজেককে বলা হয়ে থাকে মেঘের রাজ্য।
স্বাআলো/এস