আজাদুল হক, বাগেরহাট: দাম্পত্য জীবনে স্বামী-সংসারে বিরোধ থাকায় সুমাইয়া খাতুন (২১) নামের এক গৃহবধু বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার দৈব্যজ্ঞ্যহাটি এলাকায় বাবার বাড়িতে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ শনিবার (২৯ জুন) ওই গৃহবধূর লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
সুমাইয়া খাতুন মোড়েলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞ্যহাটি গ্রামের বাহাদুর খানের মেয়ে এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার দক্ষিণ খানপুর গ্রামের পলাশ শেখের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, দৈবজ্ঞ্যহাটি গ্রামের বাহাদুর খানের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন স্বামী-সংসারের অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে সম্প্রতি বাবার বাড়িতে আসে। শনিবার সবার অজান্তে তার শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে নিজের ওড়না গলায় পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি দেখে তার পিতা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া শব্দ না করায় জানালা দিয়ে দেখতে পান মেয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছে। এ অবস্থায় ডাক-চিৎকার দিয়ে দরজা ভেঙ্গে মেয়েকে উদ্ধার করলেও ততক্ষণে মেয়ের মৃত্যু হয়। বিষয়টি স্থানীয় দৈবজ্ঞ্যহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানানো হয়।
বাগেরহাটে মানব পাচার চক্রের ৩ সদস্য আটক, ভিকটিম উদ্ধার
এ খবর পেয়ে মোড়েলগঞ্জ থানার ওসি নিজেই পুলিশ ফোর্স নিয়ে ওই বাড়িতে আসেন এবং লাশের সুরতহাল রির্পোট করেন।
সুমাইয়ার পিতা বাহাদুর খান জানান, তিন বছর আগে মেয়েকে বিবাহ দেই। কোনো সন্তান হয় নাই। স্বামী সংসারে অশান্তি সইতে না পেরে সে আমার কাছে চলে আসে।
মোড়েলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ শামসুদ্দিন জানান, বাগেরহাট সদর উপজেলার দক্ষিণ খানপুর এলাকায় স্বামী-সংসার ছেড়ে মোড়েলগঞ্জ দৈবজ্ঞ্যহাটি এলাকায় পিতার বাড়িতে সুমাইয়া খাতুন নামের একজন তরুণী গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পরে আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি মেয়ের মায়ের অভিযোগ স্বামীর অত্যাচারে এবং প্ররোচনায় তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। এ কারনে স্বামী পলাশ শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
স্বাআলো/এস