আজাদুল হক, বাগেরহাট: জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় স্বামীর সাথে বিরোধ করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তানিয়া আক্তার (২২) নামের একজন গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে।
বুধবার (১০ জুলাই) মোংলা উপজেলা হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে মোংলা থানা পুলিশ ওই গৃহবধুর লাশের সুরতহাল করেছে।
তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত করতে পুলিশ লাশের ময়নাতদন্ত করতে বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
আর বিবাহের বৈধতা দেখাতে না পারায় তানিয়ার কতিথ স্বামী নাইম শেখকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের চোরাই ইজিবাইকসহ চোর আটক
গৃহবধুর স্বামী পরিবারের বরাত দিয়ে থানা পুলিশ জানায়, চট্রগামে গার্মেন্টসে চাকরি করাকালীন সময়ে তানিয়া আক্তারের সাথে মোবাইলের মাধ্যমে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম আমুরবুনিয়া গ্রামের নাইম শেখের প্রেম হয়। আর এই প্রেমের সুত্রধরে গত ৭ মাস আগে তাদের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে তারা আমুরবুনিয়া গ্রামেই বসবাস করছিলো। সম্প্রতি তানিয়া আক্তার স্বামীর সাথে আবার চট্রগ্রামে গার্মেন্টসে চাকরিতে যাবে বলে স্বামীকে জানায়। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বুধবার স্বামী চট্রগামের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে স্ত্রী তানিয়া ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলে পড়ে।
বিষয়টি তানিয়ার শ্বাশুড়ি মমতাজ বেগম দেখতে পেয়ে দ্রুত দরজা খুলে ডাক-চিৎকার দেয়। পরে আড়া থেকে তানিয়াকে নামিয়ে পাশ্ববর্তী মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং মোংলা থানাকে অবহিত করেন।
লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী মোংলা থানার এসআই মেরাজুল ইসলাম বলেন, স্বামী নাইম শেখ তার বিবাহের কোনো বৈধতা দেখাতে পারছে না। এমনকি তানিয়া আক্তারের বাবা-মা বা তাদের ঠিকানাও জানাতে পারছে না। এ কারনে স্বামী নাইম শেখকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি মোড়েলগঞ্জ থানা এলাকায়। মোংলা হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে আমরা তানিয়ার মরদেহ হেফাজতে নিয়ে লাশের সুরতহাল করেছি। আর তানিয়ার স্বামী নাইম শেখ তার বিবাহের কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এবং স্ত্রীর বাবা-মার ঠিকানা বলতে না পারায় ঘটনা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারনে নাইম শেখকে পুলিশ হেয়াজতে নেয়া লাশের ময়নাতদন্ত করতে বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্বাআলো/এস