জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী: জেলাতে কয়েকজন ইউপি সদস্যদের টিসিবি পণ্য বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাত করার প্রতিবাদে শত শত টিসিবি কার্ডধারী মৎস্যজীবী জেলেদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল।
গতকাল বিকালে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১২ নং বড়বিঘাই ইউনিয়নে তিতকাটা ক্যাম্প বাজারে বড়বিঘাই ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মাঈনুল হাসান জিয়া, ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর কাওসার আকন, ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর জামাল হোসেন মিন্টু, ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মিজানুর রহমান ও ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বর জামাল হাওলাদার, সংরক্ষিত ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর বিউটি ও ৫,৬,৭ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর মনিরা আক্তার এলাকার কার্ডধারী জেলেদের টিসিবি পণ্য চাল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাত করা এবং অত্র বড়বিঘাই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী জেলেসহ এলাকাবাসী।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, দক্ষিন বিঘাই মৎস্যজীবী গ্রাম সমিতির সভাপতি আবুল কালাম, জেলে আঃ রব ফরাজী, জেলে আব্দুস সোবাহান, জেলে জেসমিন, জেলে খলিল, জেলে ফোরকান, জেলা রাহাত শরীফ প্রমুখ।
জেলে নেতা আবুল কালাম জানান, উল্লেখিত মেম্বররা টিসিবি কার্ডধারী জেলেদের দুই মাসে ৮০ কেজি করে চাল বিতরণ না করে ৬০ কেজি করে চাল বিতরণের উদ্যোগ নিলে ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর হাওলাদার এতে বাধা দেয় এবং ২৫ মার্চ খাটাশিয়া বাজারে পটুয়াখালী সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের উপস্থিতিতে ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক কার্ডধারী জেলেদের মাঝে ৮০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উল্লেখিত মেম্বররা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে তার সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছেন।
জেলে জেসমিন জানান, আমি টিসিবি কার্ডধারী জেলে, আমাকে বাদ দিয়ে জেলে না তাকে রিসিভের মাধ্যমে চাল দেয়ার চেষ্টা করছিলো, চেয়ারম্যান জানতে পেরে তা বন্ধ করে দেয়। তাই ওরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধ মিথ্যা কথা বলে। এ রকম অভিযোগ করেন মানবন্ধনে অংশগ্রহনকারী জেলেরা।
পরে বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন জেলেরাসহ এলাকাবাসী।
সদর উপজেলার ১২ নং বড়বিঘাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর জানান, সব মেম্বারদেরকে বলেছি জেলেদের দুইমাসে প্রাপ্য ৮০ কেজি করে চালের এক কেজি চালও কম দেয়া যাবেনা। আমি উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে উপস্থিত রেখে কার্ডধারী প্রতি জেলেকে ৮০ কেজি করে চাল দিয়েছি। এতে পাঁচ-সাতজন মেম্বর আমার বিরুদ্ধে লেগেছে।
স্বাআলো/এসআর