বেনাপোল চেকপোস্টে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে তিন মাসে প্রায় দুই কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। একই সাথে সাড়ে ১৯ লাখ টাকা স্পট ট্যাক্স আদায় করা হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস ইমিগ্রেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান ও হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, চোরাচালানি বন্ধে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও পাসপোর্ট যাত্রীদের লাগেজ রুলস অনুযায়ী কাঙ্খিত সেবা দিতে বদ্ধপরিকর কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট। তারই অংশ হিসেবে স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে যাত্রীদের ব্যাগ এবং মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দেহ তল্লাশি করা হচ্ছে। ভারত ফেরত যাত্রীদের লাগেজ থেকে আমদানি নিষিদ্ধ অবৈধ পণ্য আনা হলে তা আটক ব্যবস্থাপনা বা ডিএম করা হচ্ছে। একই সাথে কেউ অবৈধ উপায়ে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য ভারতে নেয়ার ক্ষেত্রেও আটক করা হচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নাঈম উদ্দীন, দিদারুল আলম ফারুকী, নূরে আলম এবং ২য় শিফটে ডিউটি করছেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবু ইউসুফ, সাবেরা শারমিন, সুমনা হক এ্যানি ও শহীদুল্লাহ।
বেনাপোলে স্থলবন্দরে চার মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৩২৮ কোটি টাকা
এসব কর্মকর্তা পাসপোর্ট যাত্রীদের হয়রানি ছাড়াই যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো চোরাচালানি পণ্য যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে এবং ভারত থেকে কোনো পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠা ও সতর্কতার সাথে কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। সে কারণে চেকপোস্টে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে তিন মাসে এক কোটি ৯০ লাখ টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ করা হয়েছে। একই সাথে সাড়ে ১৯ লাখ টাকা স্পট ট্যাক্স আদায় করা হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ভবনের নিরাপত্তা ও পাসপোর্ট যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে ২৭টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে এখানে অবৈধভাবে পণ্য পারাপার ও চোরাচালানের কোনো সুযোগ নাই। লাগেজ রুলস ব্যতীত ভারত থেকে বেশি পণ্য নিয়ে আসলে তাদের পণ্য ডিএম করে সরকারের রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে।
স্বাআলো/এস