ভারতের অভ্যন্তরে উৎপাদিত আলু ও পেঁয়াজ অন্য দেশে সরবরাহ করবে না বলে রফতারিতে স্লট বুকিং বন্ধ করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
এতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে করে হিলি স্থলবন্দর এলাকায় বেড়েছে সব ধরনের আলু ও পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় আলু ৭০ টাকায়, দেশি আলু ৭৫ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। তবে সোমবার আগের বুকিং করা দুই ট্রাক আলু আমদানি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বন্দরে। যা একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে আলুর দাম তবে স্বাভাবিক রয়েছে পেঁয়াজের দাম।
সবশেষ রবিবার ১৪ ট্রাকে ৩৯৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৭২ ট্রাকে দুই হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। এরপর রফতানিতে স্লট বুকিং বন্ধ করে দেয় দেশটির রাজ্য সরকার।
ভারতের একজন রফতানিকারক বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করে পেঁয়াজ ও আলুর দাম বেড়ে যাবার কারণে রাজ্য সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমরা বৈঠক করবো সরকারের প্রতিনিধির সাথে যাতে অন্য রাজ্য থেকে হলেও বাংলাদেশে আলু ও পেঁয়াজ রফতানি করতে পারি। এ ছাড়াও আমাদের যেসব গাড়ি লোডিং অবস্থায় রয়েছে সেগুলোর স্লট বুকিং না দিলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের স্লট বুকিং নিতে হয় যা অনলাইন সিস্টেমে। হঠাৎ করে রবিবার অনলাইন সিস্টেম বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান ভারতের রপ্তানিকারকরা। ফলে স্লট বুকিং দিতে পারছি না আমরা। যার কারণে পেঁয়াজ ও আলু আমদানিতে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি তবে আগের বুকিং করা আলু সোমবার এসেছে দুই ট্রাক। স্লট বুকিং খুলে না দেয়ায় মঙ্গলবার থেকে আলু ও পেঁয়াজ বন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে না।
স্বাআলো/এস