নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে অস্ত্র ও মাদক মামলার তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৭ মার্চ) পৃথক তিনটি আদাল এই সাজা দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে আরবপুর এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলিসহ আটক হয় খোলাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মানিক গাজী। এই ঘটনায় মামলার পর তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন খান।
যশোরে ৪ কোটি টাকার সোনার বারসহ আটক ২, রিমান্ড
বুধবার বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জুয়েল অধিকারী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এছাড়া, ২০২২ সালের ১১ মার্চ রাত ৮টার পর চৌগাছার নওদাপুর গ্রাম থেকে ইন্দ্রাপুরের মিজানুর বিশ্বাসকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ৫৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এসআই সাদ্দাম হোসেন তার বিরুদ্ধে চৌগাছা থানায় মামলা করেন।
বুধরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এই মামলার আসামি মিজানুর বিশ্বাসকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা: যশোর থেকে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আটক
অন্যদিকে, ২০১৪ সালের ১৬ জুন বিকেলে চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশ সদস্যদের হাতে আশ্রম রোড থেকে ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক হয় আশ্রমরোড এলাকার আকাশ। এই ঘটনায় এসআই জামাল উদ্দীন বাদী হয়ে আকাশসহ শংকরপুর এলাকার আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। মামলায় পুলিশ দাবি করে আকাশের সাথে ছিলো রহিম। মামলাটি তদন্ত শেষে এসআই শেহাবুর রহমান আদালতে দুইজনকেই অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
বুধবার বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সুরাইয়া সাহাব আসামি আকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একই সাথে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আব্দুর রহিমকে খালাস দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামিই পলাতক রয়েছেন।
স্বাআলো/এস