রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা: জেলার বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা সদর থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টাকালে পুলিশ লাটিচার্জ ও চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে । আন্দোলনকারীরাও এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। এঘটনায় পুলিশ কমপক্ষে ১৫ জনকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সাতক্ষীরা সদর থানার সামনে এঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন,সদর থানা পুলিশের উপসহকারি পরিদর্শক জিল্লুর রহমান, গোয়েন্দা পুলিশের উপসহকারি পরিদর্শক শাহানুর হোসন ও সিপাহী নাদিম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার শহরের নারকেলতলা মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে খুলনা রোডের মোড়ের দিকে যায়। খুলনা রোডের মোড়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর তারা পৌনে ১২টার দিকে সঙ্গীতা মোড়ে যায়। সেখান থেকে ফিরে নিউমার্কেট মোড় হয়ে পৌরদীঘির দিকে যাওয়ার সময় আটককৃত আন্দোলনকারীদের ছাড়িয়ে নিতে সাতক্ষীরা সদর থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ থানার ফটক লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে আন্দোলনকারিরা এক পুলিশ সদস্যের উপর লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে পুলিশ তাদের ওপর লাটি চার্জ ও চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট- পাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পরে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কসহ বিভিন্ন স্থান থেকে কমপক্ষে ১৫ জন আন্দোলনকারীকে আটক করে পুলিশ।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহিদুল ইসলাম জানান,আন্দোলনকারীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে শহরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাতক্ষীরা শাখার আহবায়ক আল ইমরান জানান, বুধবার রাত থেকে এপর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫ জন আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য থানায় যাওয়া হয়েছিলো বলে জানান তিনি।
স্বাআলো/এস/বি