জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে ‘‘ফলে পুষ্টি অর্থ বেশ, স্মার্ট কৃষির বাংলাদেশ’’ প্রতিপাদ্যে ফল মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৮ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা খামার বাড়ি প্রাঙ্গনে এ মেলার আয়োজন করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসন।
আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। তবে ক্ষুদ্র পরিসরে এ মেলায় মাত্র চারটি স্টল বসেছে।
মেলা উপলক্ষে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, দেশীয় ফল এই মেলায় রাখা হয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের দেখার সুযোগ করে দেয়া জন্য প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেছেন, আমার সেটির প্রস্তাব করেছি। তরুণ এবং শিশুদের দেখার যে সুযোগ কৃষি দফতর করে দিয়েছে, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ।
তিনি আরো বলেন, বাজারের অসংখ্য বিদেশি ফলের ভিড়ে আমাদের দেশি ফল যেনো হারিয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশীয় ফল কোনো অংশে কম নয়। এটি চমৎকার উদ্যোগ। আপনারা আপনাদের সন্তানদের নিয়ে ফল মেলা দেখতে আসবেন, দেশীয় ফলকে প্রমোট করবেন।
ফল মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজিব হাসান কচি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মোমরেজ আলী, অতিরিক্ত উপ পরিচালক কায়সার ইকবাল, কৃষি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পাহলোয়ানসহ উপজেলা কৃষি অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।
মেলা প্রাঙ্গন সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সামান্য জায়গায় স্বল্প পরিসরে জেলা পর্যায়ের আয়োজন সমালোচিত হয়েছে ব্যাপকভাবে। চুয়াডাঙ্গার জেলার চার উপজেলার মধ্যে তিনটি উপজেলা কৃষি দফতর এ মেলায় অংশগ্রহণ করলেও আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি দফতরকে এ মেলায় দেখা যায়নি। মেলায় সদর উপজেলা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস এবং জেলা হর্টিকালচার সেন্টার অংশ নিয়েছে। জেলা হর্টিকালচার সেন্টারের কোনো ফল নেই। তাঁদের শুধু বৃক্ষ। এছাড়াও, মেলায় অংশ নেয়া বাকি তিনটি স্টলে ফলের কমবেশি উপস্থিতি থাকলেও বিক্রিত নয় বেশিরভাগ ফল।
তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, দেশী ফলের প্রচার তুলে ধরতে এ মেলা আয়োজন। যারা এখানে অংশ নিয়েছেন তাদের ঠিকানাসহ দেয়া হবে। এবং এখান থেকে ফল কিনতেও পারবেন। ফলের চারা কোথায় পাওয়া যায়, এবং পরিচর্যাসহ সবকিছুই জানার সুযোগ এই মেলাতে থাকবে।
উল্লেখ্য, মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কৃষকদের মধ্যে ফলজ বৃক্ষের চারা বিতরণ ও খামার বাড়ি প্রাঙ্গনে জেলা প্রশাসক একটি ফলজ বৃক্ষ রোপণ করেন।
স্বাআলো/এস/বি