চিনি রফতানিতে বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ালো ভারত সরকার। নতুন ঘোষণায় ৩১ অক্টেবর সময়সীমা শেষ না করে আরো বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিটিএফ) কর্তৃপক্ষ। ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে এই বিধিনিষেধ ইউরোপ-আমেরিকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
ডিজিটিএফ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সিএক্সএল এবং টিআরকিউ কোটার অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা চিনির ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য নয়।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি রফতাকারক দেশ। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার যুক্তিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্য রফতানিতে গত বছর বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটি। সেই নির্দেশনার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিলো এ বছরের ৩১ অক্টোবর।
এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া মৌসুমে মাত্র ৬১ লাখ টন চিনি রফতানির অনুমতি দিয়েছিলো ভারত। অথচ গত মৌসুমেও রেকর্ড এক কোটি ১১ লাখ টন চিনি রফতানি করেছিলো দেশটি।
ভারতের মোট চিনি উৎপাদনের অর্ধেকেরও বেশি হয় পশ্চিমের রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে। এ বছর এসব এলাকায় গড়ের চেয়ে ৫০ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
এর ফলে ২০২৩-২৪ মৌসুমে ভারতের চিনি উৎপাদন ৩ দশমিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন।
শেষবার ২০১৬ সালে বিদেশে বিক্রি কমানোর লক্ষ্যে চিনি রফতানিতে ২০ শতাংশ কর আরোপ করেছিলো ভারত সরকার।
স্বাআলো/এসএস