স্পার্টস ডেস্ক: দীর্ঘ ১৩ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছে ভারত। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে রোহিত-কোহলিরা। সেই সঙ্গে অনেকগুলো রেকর্ডও সঙ্গী হয়েছে ভারতের।
এবারের বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ হারেনি ভারত। কানাডার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যায়, এর বাইরে বাকি আটটি ম্যাচই জিতেছে তারা। এতে প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে এটিই কোনো দলের সর্বোচ্চ রান। এতদিন ২০২১ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়ার করা ২ উইকেটে ১৭৩ রান ছিলো সর্বোচ্চ।
বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরলো টাইগাররা
বিশ্বকাপ জিতে ভারতের কয়েকজন ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত অর্জনের পাল্লাও ভারি হয়েছে। বিশ্বকাপ জিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন বিরাট কোহলি, ফাইনালে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ ১৬বার টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন কোহলি।
৩৭ বছর ৬০দিন বয়সে অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন রোহিত শর্মা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বুড়ো ও সবমিলিয়ে আইসিসি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় বেশি বয়সী অধিনায়ক তিনি। ৩৯ বছর ১৭২দিন বয়সে পাকিস্তানকে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন ইমরান খান।
দলকে রেখে গোপনে দেশে ফিরলেন সাকিব
ফাইনালের পর অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন রোহিতও। সবমিলিয়ে ভারতকে ৬২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪৯টিতে জিতিয়েছেন দলকে, তার চেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি কেউ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাবর আজমের জয় ৪৮টি।
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের নয়টি আসরের ফাইনালের আটটিতেই জিতেছে টস জেতা দল। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের কাছে কেবল টস জেতার পরো হেরেছিলো শ্রীলঙ্কা। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কোনো দল আগে ব্যাট করে বিশ্বকাপ জিতলো। আগের দুইটি ছিলো ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত ও ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
এছাড়াও দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা তৃতীয় দল ভারত। এর আগে এমন কীর্তি ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের। দুইটি বিশ্বকাপ জেতা খেলোয়াড়দের তালিকায় নবম নাম রোহিত শর্মা।
এর আগে ড্যারন সামি, মার্লোন স্যামুয়েলস, ক্রিস গেইল, জনসন চার্লস, ডোয়াইন ব্রাভো, স্যামুয়েল ভাদ্রি, আন্দ্রে রাসেল ও দিনেশ রামদিনের এই কীর্তি ছিলো।
স্বাআলো/এস