বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যেন থামছেই না। চলতি বছর নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণ আক্তারকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। দুইজনের জয়-পরাজয়ের মাঝে মাত্র ১৬ ভোটের ব্যবধান ছিলো।
ভেঙে ফেলা হচ্ছে ডিপজলের সিনেমা হল
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ডিপজলকে ফুলের মালা গলায় পরিয়ে বরণ করে নেন নিপুণ। কিন্তু মাস না ঘুরতেই সুর পাল্টে যায় তার। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে আদালতে রিট দায়ের করেন তিনি। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। নিপুণের সেই রিটের প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটিতে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ দেন আদালত। যদিও পরে সেই নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। পুনরায় শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদ ফিরে পান ডিপজল। মূলত এরপরেই তাদের মধ্যে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি নেতিবাচক মন্তব্য ও একে অপরের প্রতি নানান অভিযোগ।
মিশা-ডিপজল দুইজনেই মূর্খ: নিপুণ
প্রথমে ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেন নিপুণ। এর জবাবে নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে বলে মন্তব্য করেন ডিপজল। তবে এখানেই থামেনি দুইজনের তর্ক-বিতর্কের লড়াই।
সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে নিপুণকে নিয়ে আবারো মুখ খুলেছেন ডিপজল। অভিনেতা বলেন, নিপুণকে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে এনে ভুল করেছিলাম আমি। এখন থেকে তাকে আমি চিনি না। শিল্পী সমিতির চেয়ারে টাকা-পয়সা বলে কিছু নেই। এটা একটা ইজ্জত। আমার নির্বাচন করার ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু গতবার অনেক অনিয়ম দেখেছি। তাই এবার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করলাম।
গয়না বিক্রির টাকায় ভোট করেছি: নিপুণ
তিনি আরো বলেন, নিপুণের মূল ব্যবসাটা কী? আমি যে সিনেমা করছি, এটাই কী আমার মূল ব্যবসা? না, এটা আমর মূল ব্যবসা না। শুনলাম, নিপুণ পার্লার দিয়েছেন। কী পার্লার এটা? সেই পার্লারে গিয়ে আপনারা দেখেন, সেটা কেমন পার্লার। সেখানে কী হয়।
স্বাআলো/এস