ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুদ্ধ ও অস্ত্র মানুষের মঙ্গল বয়ে আনে না। এই যুদ্ধের ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী ও শিশু। আমরা সেটা জানি। যুদ্ধের ফলে শিশু হারায় বাবা-মা, বাবা-মা হারায় সন্তানদের।
ফিলিস্তিনে খাদ্য ও ওষুধ পাঠানোর ঘোষণা মালয়েশিয়ার
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা যুদ্ধের সময় কী অবস্থা হতে পারে, সেটা তো আমরা আমাদের জীবন দিয়েই দেখেছি। আমি দেখেছি, লাশ পড়ে আছে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায়। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি আমাদের আশ্রয় নিতে হতো। আজকে সারাবিশ্বে যে যুদ্ধ চলছে, কিছুদিন আগে দেখলাম ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এখন আবার ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণ। ইসরায়েলেও শিশু মারা গেছে, ফিলিস্তিনেও মানুষ মারা গেছে। মঙ্গলবার দেখলাম হাসপাতালেও বোমা বিস্ফোরণ করে মানুষ মেরেছে, শিশু মেরেছে। রক্তাক্ত সেই শিশুদের চেহারা। আমি বিশ্ব নেতাদের বলবো, যুদ্ধ বন্ধ করুন, অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন। যুদ্ধ ও অস্ত্র মানুষের মঙ্গল বয়ে আনে না।
তিনি বলেন, যুদ্ধে সবচেয়ে কষ্ট পায় শিশু আর নারীরা। সন্তান হারা পিতা-মাতা, পিতা-মাতা হারা সন্তান। তাদের যে কী বেদনা, সেটা আমরা জানি। এ জন্য আমরা যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আহবান জানাই। বরং এসব অস্ত্র বানানো এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতায় যে অর্থ ব্যয় হয়, সেই অর্থ সারাবিশ্বের শিশুদের খাদ্য, স্বাস্থ্য এবং তাদের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হোক সেটাই আমাদের দাবি। আমরা শান্তি চাই, কারণ শান্তি উন্নতি দেয়। আর যুদ্ধ ধ্বংস সৃষ্টি করে। কাজেই আমরা ধ্বংস চাই না, উন্নতি ও শান্তি চাই। এ জন্য আমরা শান্তির পক্ষেই সবসময় কাজ করি।
গাজায় ইসরায়েলের বলপ্রয়োগ, বাংলাদেশের নিন্দা
শেখ রাসেলকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, রাসেলের জীবনে একটা বড় শখ ছিলো বড় হয়ে সে আর্মি অফিসার হবে। কিন্তু সেই শখ তো আর পূরণ হয়নি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বাবা-মা, ভাই সবাইকে হত্যার পর সব শেষেই রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তখন আমার ছোট বোন শেখ রেহানা আর আমি বিদেশে ছিলাম। ছয়টি বছর দেশে আসতে পারিনি। আর আমাদের এই হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকারও ছিলো না।
সরকারপ্রধান বলেন, আজকের শিশুরাই স্মার্ট বাংলাদেশ চালাবে। আমি সেইভাবেই তাদের গড়ে তুলতে চাই।
স্বাআলো/এস