রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
রবিবার (১ জুন) বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত অবিলম্বে এই নির্দেশনা কার্যকর করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এই রায়ের ফলে ২০১৩ সালে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে যে রায় দিয়েছিলেন, সেটি বাতিল হয়ে গেল। এরপর হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। আপিল বিভাগের আজকের রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পথ খুললো।
আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন এবং ব্যরিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।
মুক্তি পেলেন জামায়াত নেতা আজহার
এই রায় ঘোষণার পরপরই জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
সবশেষ আপিল শুনানির সময় নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী আদালতকে জানান যে, জামায়াতকে নিবন্ধন দেয়ার বিষয়ে তারা সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছেন। ইসির আইনজীবী আরও বলেছিলেন যে, সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের পর ইসির প্রতীকের তালিকা থেকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে এবং নিবন্ধন ফিরে পেলে জামায়াতকে অন্য প্রতীক বেছে নিতে হবে।
তবে জামায়াতের আইনজীবীরা দাবি করেন, দাঁড়িপাল্লাকে রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না – এটি আদালতের কোনো রায় নয়। সে কারণে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক পেতে জামায়াতের কোনো বাধা নেই বলে তাদের দাবি।
আপিল বিভাগের আজকের এই রায়ের পর জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক দল হিসেবে পুনরায় নিবন্ধিত হয়ে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাআলো/এস