আইন আদালত

মুক্তি পেলেন জামায়াত নেতা আজহার

ঢাকা অফিস ঢাকা অফিস | May 28, 2025

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খালাস পাওয়ার পর বুধবার (২৮ মে) তিনি মুক্তি লাভ করেন।

বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তিরত অবস্থায় কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক জান্নাত-উল ফরহাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড থেকে তাকে খালাস দেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় দেন।

খালাস পেলেন জামায়াত নেতা আজহার

এই রায়ের মাধ্যমে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ে তাকে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ ও নির্যাতনের ছয় ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিলো।

এটি ছিল ছয় বছরের ব্যবধানে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আজহারের আপিল শুনানির দ্বিতীয় রায়। প্রথম দফায় ২০১৯ সালে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছিলেন তৎকালীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। গত বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর আজহারুল মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা আপিল করেন এবং এবার তিনি খালাস পেলেন। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলে এই প্রথম কেউ খালাস পেলেন।

আজহারুলের খালাসের রায় ঘোষণার পরপরই মঙ্গলবার দুপুরে আপিল বিভাগ থেকে বিচারপতিদের স্বাক্ষর শেষে সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করা হয়। এরপর বিধি অনুযায়ী তার মুক্তির বিষয়ে আদেশ জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

উল্লেখ্য, আজহারুল রাজধানীর শাহবাগের বিএসএমএমইউ হাসপাতালে কয়েক মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে জামায়াতে ইসলামীর তখনকার এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।

স্বাআলো/এস

Shadhin Alo