যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের কল্যাণদাহ-গোয়ালদাহ দাখিল মাদরাসার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক শিক্ষক নাশকতা মামলার আসামি ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে জেলখানায় বসে নিয়মিত বেতন-ভাতা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানের সুপার ও সভাপতিকে উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করে তিনি অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কল্যাণদাহ-গোয়ালদাহ দাখিল মাদরাসার আইসিটি শিক্ষক ইমরান হোসেন জামায়াত ইসলামের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা। গত ২৮ অক্টোবর জামায়াত ইসলামের ডাকে ঢাকার শাপলা চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে যোগ দেন ওই শিক্ষক। তারপর অক্টোবর মাসেই যশোরে ফিরলে তাকে নাশকতার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেন। জেলে বসেই তিনি নভেম্বর মাসে অক্টোবর মাসের এমপিওর বেতন-ভাতা পেয়েছেন। এমপিওভুক্তির বিধান অনুযায়ী বেতন-ভাতা পেতে হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিও শিট ও প্রতিষ্ঠানের ভাউচারে স্বাক্ষর করতে হয়। কিন্তু জেলখানায় থাকা অবস্থায় তার ব্যাংক হিসাব নম্বরে বেতন-ভাতা পৌঁছে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষকই অভিযোগ করে বলেন, ইমরান হোসেনের স্বাক্ষর জাল করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এমপিও শিট ব্যাংকে জমা দিয়েছেন। ব্যাংক স্বাক্ষর তদন্ত বা অভিযুক্ত শিক্ষকের সর্ম্পকে খোঁজ-খবর না নিয়েই বেতন-ভাতা ছাড় করে দিয়েছে। সেইজন্য জেলে বসে থাকা অবস্থায় ইমরান হোসেনের হিসাব নম্বরে বেতন-ভাতা পৌঁছে গেছে।
প্রতিষ্ঠানের সুপার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আইসিটি শিক্ষক ইমরান হোসেন বর্তমানে জেলখানায় রয়েছেন। তার হিসাব নম্বরে বেতন-ভাতাও দেয়া হয়েছে সব সঠিক। তিনি জেলমুক্ত না হলে আগামী মাস থেকে আর তার বেতন-ভাতা দেয়া হবে না। বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বিদারুল কাদির স্বপন বলেন, এমপিওর বেতন-ভাতার কাগজপত্র সুপার প্রস্তুত করে দেন। আমি শুধু স্বাক্ষর করি। বিষয়টি সুপার ভালোভাবে বলতে পারবেন। সাসপেন্ডসহ আগামীতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক অফিসার এম রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সুপারের সাথে আমি কথা বলবো। শিক্ষা আইনে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাআলো/এসএ