যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের ব্যাপারে ইচ্ছুক নন জাতীয়তাবাদী ফোরামের সিনিয়র আইনজীবীরা। ফলে রবিবার (২২ অক্টোবর) সমিতির এক নম্বর ভবনে সিদ্ধান্ত ছাড়াই আইনজীবী ফোরামের প্রার্থী বাছাই সভা শেষ হয়ে যায়।
কয়েক বছর ধরে যশোর জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। এরআগে আবু মোর্ত্তজা ছোটকে বহিস্কার করায় এই কোন্দলটি প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। ফলে এ বছর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ফোরামের ভরাডুবি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এরআগে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সিনিয়র আইনজীবীরা ফোরামের বিশেষ সাধারণ সভা করে কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নজরুল ইসলামকে আহবায়ক করে কেন্দ্রে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে পাঠানো হলেও আজ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি।
সূত্রে জানা গেছে, আসছে আগামী যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করেছেন। কিন্তু জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কোন্দল নিরসনে আহবায়ক নজরুল ইসলাম বিশেষ সাধারণ সভার আহবান করেন। সভায় বহিস্কৃত ফোরামের সাবেক সভাপতি আবু মোর্ত্তজা ছোটকে ফিরিয়ে এনে নির্বাচন করার জন্য সুপারিশ করা হয়। সুপারিশের বিষয়টি রেজুলেশন আকারে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। অনেকের ধারণা ছিলো এবার হয়তোবা কোন্দল নিরসন হবে। আর সে কারণে গত নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো। কিন্তু কেন্দ্র আজও এই ব্যাপারে কোনো মতামত দেয়নি। ফলে আগামী নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কোন্দলটি আবার প্রাকশ্যে রূপ নিতে যাচ্ছে। আর তাই ফোরামের এদিনের সভায় সদস্যদের উপস্থিতিও অনেক কমে গেছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে স্বস্ব ইউনিটের সম্মেলন, কমিটি পুনর্গঠন, কমিটিতে সংযোজন-বিয়োজন এবং কমিটি স্থগিতকরণ বিষয়ে কোনোরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। ফলে যশোর ইউনিটের আহবায়ক কমিটি বাতিল ও পূর্বের কমিটি বহাল থাকছে। একই সাথে কেন্দ্র থেকে যশোর ইউনিটের ল’ইয়ার্স ফোরামের ফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিতে মতামত দেয়া হয়। সে কারণে অনেকের মধ্যে মতবিভেদ দেখা দেয়ায় সংগঠনের সভায় উপস্থিতি হতে অনিহা প্রকাশ করে।
রবিবার দুপুরে সমিতির এক নম্বর ভবনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থী বাছাই সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ ইসহক। বক্তব্য রাখেন ইসলামী ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি ইমামুল হাসান ও আগামি নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী মুজিবর রহমান এবং এমএ গফুর প্রমুখ।
সভায় আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদে মুজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি পদে সৈয়দ রুহুল কুদ্দুস কচি, মাহফুজুর রহমান, মঞ্জুর কাদির আশিক, যুগ্ম সম্পাদক পদে জুলফিকার আলী জুলু, সহকারী সম্পাদক পদে তাহমিদ আকাশ, ডেজিনা ইয়াসমিন, গ্রন্থাগার পদে মুস্তাকিন মোস্তফা এবং সদস্য পদে সেলিম রেজা, এনামুল আহসান টিটুল, রোকনুজ্জামান রোকন ও কোরম উদ্দিনের নাম প্রস্তাব করা হয়।
এ সভায় ফোরামের সিনিয়র সদস্যরা উপস্থিত না থাকায় শেষ পর্যন্ত প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত না করে সভা শেষ করা হয়।
স্বাআলো/এসএ