চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বোনের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক যুবলীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) মধ্যরাতে উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের লালানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ফিরোজ খান (৩৫)। তিনি ওই ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া এলাকার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে এবং বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা ফিরোজ খান রাজনৈতিক রোষানলের ভয়ে ৫ আগস্টের পর থেকে নিজ এলাকা ত্যাগ করে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার দূরে বোনের বাড়িতে থাকতেন। শুক্রবার মধ্যরাতে একদল দুষ্কৃতকারী বোনের বাড়িতে গিয়ে তাকে ডেকে বাইরে আনেন। এরপর জমিতে নিয়ে গিয়ে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে ফেলে গেলে স্বজনরা উদ্ধার করেন। পরে তাকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সীতাকুণ্ড হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইমরান বলেন, রাতে যখন ফিরোজ খানকে হাসপাতালে আনা হয় তখন তিনি আর বেঁচে নেই। তবুও ইসিজি করে তারা নিশ্চিত হন। ফিরোজ খানের শরীরে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন দেখে তিনি থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
নিহতের সঙ্গে থাকা ফুফাতো ভাই মোশারফ হোসেন জানান, হত্যাকারীরা গত ১৬ বছর ধরে তার ভাইয়ের সঙ্গে একসঙ্গে রাজনীতি করতেন। ৫ আগস্টের পর তারা রাতারাতি ভোল পাল্টে ফেলে। এখন তারাই যুবলীগ করার কারণে তার ভাইকে হত্যা করেছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে নিহত ফিরোজের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় দুইটি ডাকাতির মামলা আছে।
স্বাআলো/এস