হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় যৌতুকের জন্য অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামীসহ একই পরিবারের পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-২ এর বিচারক জাহিদুল হক এ রায় দেন।
নিহত গৃহবধূর নাম আয়েশা আক্তার। তিনি চুনারুঘাট উপজেলার পঞ্চাশ গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নিহতের স্বামী চুনারুঘাটের সাদেকপুর গ্রামের রাসেল মিয়া (২৬), শাশুড়ি তাহেরা বেগম (৫৫), দেবর কাউছার মিয়া (৩৫), বোন রোজি বেগম (৩২) এবং ছোট বোন হোছনা বেগম (২৫)। এদের মধ্যে কাউছার মিয়া পলাতক রয়েছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের পেশকার জিয়াউল হক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আয়েশা আক্তারকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন এবং হত্যার অভিযোগে তার বাবা আব্দুস সাত্তার ২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ২০২৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল মনসুর চৌধুরী জানান, দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত পাঁচজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী এমএ মজিদ এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা উচ্চ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
স্বাআলো/এসএস