নিজস্ব প্রতিবেদক: আনোয়ার হোসেন বিপুল তার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছেন, আগামী ৫ জুনের নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে একটি নলেজ পার্ক নির্মাণ করবেন। ‘নলেজ ইজ পাওয়ার। যে পাওয়ার টেকসই উন্নয়নে অপরিহার্য। এজন্য উপজেলার অধীনে নলেজ পার্ক গড়ে তোলা হবে। যেখানে শিশু সাহিত্য, বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার উপযোগী বই ছাড়াও বাস্তব জ্ঞান অর্জনের জন্য নানা উপকরণ থাকবে।’ উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া, তার ইশতেহারে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে শিশু পার্ক নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। বিপুল বলেন, ‘আজকের শিশুরা আগামীর বাংলাদেশ। তাই শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে, তাদের মেধার বিকাশে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে আধুনিক মিনি শিশু পার্ক গড়ে তোলা হবে।’
ইশতেহারের ভূমিকাতে তিনি আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, এই সদর উপজেলা নিয়ে সমাজের বিশিষ্টজনদের অনেক স্বপ্ন রয়েছে। নতুন প্রজন্মের মানুষ হিসেবে আমারও স্বপ্ন আছে। ইতিমধ্যে আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি, অনানুষ্ঠানিকভাবে বসেছি। সেই আলোকে আমি আমার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করছি। এই ইশতেহার আপনাদের কাছে আমার লিখিত প্রতিশ্রুতি। নান্দনিক, মানবিক ও স্মার্ট যশোর সদর উপজেলা বির্নিমানে ১০ লাক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর জন্য এই নির্বাচনী ইশতেহার। বিপুল জনগোষ্ঠীকে সেবা দিতে পারাটাই আসল যোগ্যতা। সুযোগ পেলে নিজের মেধা-মনন, অভিজ্ঞতা সবকিছু উপজেলাবাসীর জন্য উৎসর্গ করাই আমার আসল অঙ্গীকার।
সদরকে শ্রেষ্ঠ উপজেলা গড়তে আমার মেধা ও শ্রমের সর্বস্ব বিলিয়ে দেবো: বিপুল
ঘোষিত ইশতেহারে বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়নের জন্য উপজেলার অধীনে একটি নলেজ পার্ক গড়ে তুলবেন। কর্মসংস্থানের বাইরে থাকা যুবদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ঋণের মাধ্যমে বছরে ২০ হাজার যুবককে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ গ্রহণ নেয়া হবে।
যশোর সদরকে স্মার্ট উপজেলা বিনির্মানে ১৩ দফা ও ১৪ উপ-দফার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুল।
সোমবার (৩ জুন) প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সামনে এই ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।
তিনটি ভাগে বিভক্ত ইশতেহারে তিনি প্রথম ভাগে ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন কী করেছেন, দ্বিতীয় ভাগে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে কী করবেন আর শেষ ভাগে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উপজেলার উন্নয়নে মান্টার প্লান তৈরি করার কথা বলেছেন।
ইশতেহারে তিনি উল্লেখ করেন, যশোর সদর উপজেলার ব্রিটিশ ভারতের প্রথম জেলা যশোর সদরের এই উপজেলাটির উন্নয়নে আজ পর্যন্ত কোন মাস্টার প্লান তৈরি করা হয়নি। যশোর সদর উপজেলার উন্নয়ন ও জনগণের টেকসই সেবা নিশ্চিত করতে তিনি অভিজ্ঞ নাগরিক ও প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করবেন। যে কমিটি যশোর সদর উপজেলার উন্নয়নে বিশ্বমানের একটি মাস্টারপ্লান তৈরি করবে।
ইশতেহার ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি একেএম খয়রাত হোসেন, সাংহঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর হেলাল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ফারুক আহমেদ কচি, সদস্য খায়রুজ্জামান রয়েল ও উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটু প্রমুখ।