সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার হরিশখালীতে সুপেয় পানির দাবিতে খালি কলস নিয়ে এলাকাবাসী ২৯ নভেম্বর মানববন্ধন করেছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটিটিম ও উপকুলীয় শিক্ষা বৈচিত্র উন্নয়ন সংস্থা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে নারীরা খালি কলস নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
তাদের ভাষায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে উপকূলীয় শ্যামনগরে দুর্ভোগের সীমা নেই। এর মধ্যে সুপেয় পানির অভাব অন্যতম। লবণ পানি ব্যবহারে বাধ্য এলাকারবাসী নানা রোগে আক্রন্ত হচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষের আয়ের প্রধান কৃষি ও মাছ চাষ। খেটে খাওয়া মানুষ কৃষি নির্ভরশীল। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কাঙ্খিত ফসল উৎপাদন করতে পারছে না। প্রতি বছর অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে আমন ফসলের বিঘা প্রতি উৎপাদন কমে গেছে। চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়েছেন কৃষকরা।
উপজেলার মানুষ হুমকির মুখে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলোচ্ছ্বাস, অতিরিক্ত খরা, লবণাক্ততা, ভাঙনের ফলে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অব্যাহত নদীভাঙনে কমছে জমি, সরকারিভাবে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দে নতুন কার্পেটিং রাস্তা, ইট সোলিং রাস্তা, কালভার্ট, বসতবাড়ি, গাছপালাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙনের মুখে। অবকাঠামো উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদীতে প্রতি বছরই অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামগুলো থেকে শহর ও অন্যত্র চলে গেছে হাজার হাজার পরিবার।
ভুক্তভোগীদের দীর্ঘদিনের দাবি নদী ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বেড়িবাঁধ, খাল ও নদীনালা সুরক্ষা, সুপেয় পানির পর্যাপ্ত পুকুর, সৌরচালিত পিএসএফ নির্মাণ, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং ট্যাংক বরাদ্দসহ লবণ পানির প্রবেশমুখে সুইসগেট নির্মাণের।
স্বাআলো/এস