যশোরে মাদকের পৃথক দুইটি মামলায় শার্শা ও বেনাপোলের তিনজন ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) যশোরের বিশেষ দায়রা জজ ও বিশেষ জজ (জেলা ও দয়ারা জজ) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এবং অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এই রায় আদেশ দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, শার্শা উপজেলার কায়বা গ্রামের রফিকুল ইসলাম রফিক, বেনাপোলের সাদীপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার সিরাজুল ইসলাম কালু ও নড়াইল সদরের মির্জাপুর গ্রামের শোয়াইব ওরফে শোয়েব।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল পিপি সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা ও অতিরিক্তি পিপি আসাদুজ্জামান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি শার্শা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কায়বা গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এসময় বাড়ির সামনে থেকে রফিকুল ইসলাম রফিককে সন্দেহজনকভাবে আটক ও তার হাতে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ৫টি পলিথিনের প্যাকেটে ১শ’ গ্রাম করে ৫শ’ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এসআই বাবুল আক্তার আটক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে শার্শা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আসামি রফিককে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মুরাদ হোসেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম জেলহাজতে আটক আছে।
অপরদিকে, ২০১৫ সালের ১৫ মে বেনাপোল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাদীপুর গ্রামে মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। এসময় সাদীপুর ব্রিজের সামনে মেসার্স মায়ের দোয়া স্টোরের সামনে থেকে সন্দেহজনকভাবে সিরাজুল ইসলাম কালুকে আটক করা হয়। তার দেহতল্লাশি করে লুঙ্গির সাথে কোমরে রাখা ১ কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এসআই দীন মোহাম্মদ আটক আসামি সিরাজুল ইসলামরে বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে আটক আসামির দেয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আটক সিরাজুল ইসলাম ও শোয়াইবকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের প্রত্যেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত শোয়াইব পলাতক রয়েছে।
স্বাআলো/এসএ