নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে মাদক ও চোরাচালান মামলার পৃথক রায়ে একজনের যাবজ্জীবন ও অপর দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৯ মে) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এই রায় দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পিপি ম্যামল কুমার মজুমদার।
আদালত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, শার্শা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর বিকেলে উপজেলার সাতক্ষীরা রোডের নাভারণের আনসার ক্যাম্প ক্যান্টিনের সামনে থেকে আব্দুর রহিম নামে একজনকে আটক করে।
আটক আব্দুর রহিম শার্শার বুরুজবাগান গ্রামের বাসিন্দা। এসময় তার কাছ থেকে এক কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শার্শা থানায় মামলা করেন এসআই পলাশ কুমার রায়। এসআই বাবুল আকতার তদন্ত শেষে আসামি আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আসামি আব্দুর রহিমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। রায় ঘোষণা শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেয়া হয়েছে।
অপর দিকে, মাদক চোরাচালানের আরেকটি মামলায় চৌগাছার বড়কাকুড়িয়া গ্রামের পলাতক জাহিদুল ইসলামকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন একই আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৩ জুলাই বিকালে চৌগাছা থানা পুলিশের একটি টিম উপজেলার রুস্তমপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে জাহিদুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করে। এসময় তার কাছে থাকা একটি প্লাস্টিকের বস্তা থেকে ৬০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায়তার বিরুদ্ধে চৌগাছা থানায় মামলা করেন এসআই ফিরোজ ইকবাল।
তদন্ত করে এসআই কওসার আলম আসামি জাহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গতকাল বুধবার তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
এছাড়া, চোরাচালানের আরেকটি মামলায় চৌগাছা উপজেলার হুদাপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে সাগরের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর চৌগাছার মশ্যমপুরে তল্লাশি অভিযান চালায় বিজিবি সদস্যরা। এসময় ভারত সীমান্ত দিয়ে আসতে দেখে বিজিবি আসামি সাগ কে ধাওয়া করলে মশ্যমপুর স্কুল মাঠে একটি পোটলা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ওই পোটলা থেকে ২৬৪ পিস রুপার পায়েল ও ২০ পিস রুপার বিছা মোট চার কেজি ভারতীয় রুপা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় সাগরের বিরুদ্ধে মামলা করেন বিজিবির হাবিলদার তাহেরুল ইসলাম।
তদন্ত শেষে আসামি সাগরের বিরুদ্ধে যশোর আদালতৈ চার্জশিট দাখিল করেন এসআই সৈয়দ আশিকুর রহমান। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার আসামি সাগরের উপস্থিতিতে তাকে সাত বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
স্বাআলো/এস