২০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে হারালো সংযুক্ত আরব আমিরাত। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ২ উইকেটে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে আমিরাত। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাদের প্রথম জয়।
শারজাহর অপেক্ষাকৃত ছোট মাঠে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিলো। সাধারণত এমন রান তাড়া করে জয় পাওয়া খুবই কঠিন। কিন্তু এদিন দারুণ ব্যাটিং ও কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে আমিরাত।
এই অপ্রত্যাশিত হারের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস দায় দিয়েছেন শিশির, বাজে ফিল্ডিং এবং মিডল ওভারের বোলিংকে।
ম্যাচ শেষে হতাশ লিটন বলেন, এই উইকেটে আমরা ভালো ব্যাট করেছি। তবে ওরা ব্যাটিংয়ে নামার পর শিশিরের সুবিধা পেয়েছে। সঙ্গে ফিল্ডিং ও মিডল ওভারের বোলিংয়েও ঘাটতি ছিল। এমন কন্ডিশনে বোলারদের আরও পরিকল্পিত হতে হয়।” তিনি নিজের ব্যাটিং নিয়েও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং বলেন যে তার পারফরম্যান্স প্রত্যাশিত মানের ছিল না, তবে তিনি সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। গুরুত্বপূর্ণ বোলারদের কাছ থেকে আরো ভালো কিছু প্রত্যাশা করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন লিটন। তিনি বলেন, কারো কারো ভালো দিন যায়, খারাপ দিনও আসে। আমরা বসে আলোচনা করবো এবং ঘুরে দাঁড়াবো।
সপ্তম বাংলাদেশি হিসেবে শাকিলের এভারেস্ট জয়
ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্ত নাটকীয়তা ছিলো চরমে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য আমিরাতের দরকার ছিল মাত্র ১২ রান এবং হাতে ছিল ৩ উইকেট। টাইগার পেসার তানজিম সাকিবের করা ওভারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে হায়দার আলি ও মতিউল্লাহ খান মাত্র এক বল বাকি থাকতে প্রয়োজনীয় রান তুলে নিয়ে আমিরাতের ঐতিহাসিক জয় নিশ্চিত করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ঐতিহাসিক জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলটির অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। মাত্র ৪২ বলে ৮২ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে তিনি জয়ের ভিত গড়ে দেন। উদ্বোধনী জুটিতে মুহাম্মদ জুহাইবকে নিয়ে তার ১০৭ রানের পার্টনারশিপ আমিরাতের ইনিংসে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।
ম্যাচ জয়ের পর উচ্ছ্বসিত ওয়াসিম বলেন, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। বাংলাদেশকে হারিয়ে দারুণ লাগছে। আমি সবাইকে বিশ্বাস দিচ্ছিলাম, এই রান তাড়া সম্ভব কারণ আমরা এই কন্ডিশন চিনি।
এই জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরালো আমিরাত। আগামীকালের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণীতে পরিণত হয়েছে।
এই ম্যাচ নিয়েও আশাবাদী ওয়াসিম বলেন, আমরা আমাদের শক্তি নিয়েই খেলব এবং আশা করছি সিরিজ ২-১ করতে পারব।
স্বাআলো/এস