সম্পাদকীয়: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। ৯ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে মেছাঘোনায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাইভেটকারটি একটি পিকআপকে অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মুহূর্তেই রাস্তার দুই পাশে প্রাইভেটকার ও বাসটি ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের চালকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়।
এর আগে ৪ জুন যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের শার্শায় ট্রাকচাপায় দুইজন নিহত হয়েছেন। ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নাভারণ হক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এখন নিত্যদিনের চিত্র। স্বজন হারানোর বেদনা কতটুকু তা যারা এ ব্যথায় ব্যথিত তারা ছাড়া আর কেউ অনুভব করতে পারবে না। যানবাহনের আঘাতে যে মৃত্যু হচ্ছে তা প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেই। গাড়ি চালকরা এত বেপরোয়া যে দুর্ঘটনার মাধ্যমে
প্রাণ শেষ হতে পারে তা কেউ খেয়াল করে না। ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার জন্য চালকদের অনুসোচনা আছে বলে মান হয় না। এ অবস্থায় পথচারীদের সতর্ক হওয়া ছাড়া পথ নেই। পরিবহন শ্রমিকরা দুর্ঘটনার পর নিজেদের অপরাধ মানতে নারাজ।
একটি বিয়োগান্ত ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়ার কোন মানসিকতা তাদের নেই। প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতা উল্টালে কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় একাধিক মানুষের প্রাণহানির খবর চোখে পড়ে। দুর্ঘটনার মাধ্যমে প্রাণ শেষ হতে পারে তা কেউ খেয়াল করে না। বড় একটি যানের আঘাতে মৃত্যু ঘটে সম্পূর্ণ অসচেতনতার কারণে। দুর্ঘটনার কারণে প্রচলিত ধারায় পরিবহণ শ্রমিকরা দায়ী । তাদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এ ভাবে সড়কে প্রাণ ঝরতেই থাকবে। এ ধারা কোন রকমেই চলতে পারে না। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আইনে যা আছে তা বাস্তবায়িত হোক এ কামনা সবার।
স্বাআলো/এস/বি