যশোর পুলিশ সদস্যের পুরুষাঙ্গ কর্তন: সাবেক স্ত্রী ডলির বিরুদ্ধে থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের পুলিশ সদস্যের পুরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনায় তার সাবেক স্ত্রী ডলি খাতুনের বিরুদ্ধে নড়াইল সদর থানায় মামলা হয়েছে।

আহতের বাবা বজলুর রহমান বাদী হয়ে ১৩ জুন দুপুরে এই মামলাটি করেছেন।

আসামি ডলি খাতুন যশোর সদর উপজেলার তপসীডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল করিম দফাদারের মেয়ে।

স্ত্রীকে নিয়ে হোটেলে পুলিশ সদস্য, গোপনাঙ্গে ব্লেডের আঘাত!

বাদী বজলেয়ার রহমান নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার হামারোল গ্রামের বাসিন্দা এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য।

তিনি মামলায় বলেছেন, তার ছেলে ইমদাদুল ইসলাম যশোর পুলিশ লাইন্সে নায়েক পদে কর্মরত আছেন। ২০২২ সালে ইমদাদুলের সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর ডলিকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় ডলি নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ইমদাদুল জানতে পারেন ডলির স্বামী-সন্তান আছে। সে কারণে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের এক পর্যায় ইমদাদুল ইসলাম তাকে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তালাক প্রদান করেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে ডলি খাতুন বাদী হয়ে যৌতুক নিরোধ আইনে এবং পারিবারিক আইনে যশোর আদালতে ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ইমদাদুলের বিরুদ্ধে প্রথক দুইটি মামলা করেন। পাশাপাশি সন্তান থাকতে এবং অবিবাহিত বলে প্রতারণার অভিযোগে ডলি খাতুনের বিরুদ্ধে ইমদাদুল ইসলাম নড়াইল আদালতে। ওই মামলাটিও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর তদন্ত করছে। এরই মধ্যে গত ১০ জুন পারিবারিক আদালতে মামলায় হাজিরার দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু নিধারিত সময়ে আদালতে পৌছাতে পারেনি ইমদাদুল ইসলাম। কিছু সময় পরে গিয়ে ডলির সাথে দেখা হয় এবং মামলাগুলো মীমাংসার জন্য ইমদাদুলকে প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু মামলা মীমাংসার দীর্ঘ আলোচনার সময় লাগবে বলে ইমদাদুলকে যশোরের বাইরে নড়াইলে গিয়ে একান্ত কথা বলার প্রস্তাব দেন ডলি। সে মোতাবেক ১১ জুন দুপুর দেড়টার দিকে ইমদাদুল নড়াইলে যান। নড়াইল আদালতের সামনে দাড়িয়ে থাকা ডলি কোথাও বসে একান্তভাবে কথা বলার জন্য বলেন ইমদাদুলকে। ফলে দুইজনে ভওয়াখালীস্থ্য শেখ রিজেন্সি গেস্ট হাউজের তৃতীয়তলার সি ৯ নম্বর কক্ষ তারা দুইজন ভাড়া নেন। সেখানে বসে আলোচনার এক পর্যায় ডলি তার কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কথা বলার মধ্যে ডলি ভেনেটি ব্যাগে থাকা চাকু বের করে ইমদাদুলের পুরুষাঙ্গ কেটে পালিয়ে চলে যায়। ইমদাদুল এসময় জীবন রক্ষার চেষ্টায় গেস্ট হাউজের নিচে এসে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাথালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসার এক পর্যায় তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন যশোরের চিকিৎসকেরা। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ইমদাদুল ইসলাম।

স্বাআলো/এস