মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন, কালীগঞ্জ সার্কেলের তৎকালীন সহকারি পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান, দেবহাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক চন্দ্র বিশ্বাস, কালীগঞ্জের নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন পাড়, তার ভাই শহীদুল ইসলাম, পূর্ব নারায়নপুরের ব্যবসায়ি বরুন ঘোষ ও সাদপুর গ্রামের প্রদীপ ঘোষ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৩টার দিকে দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুর রউফ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান ও তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরের নির্দেশে পুলিশ ও আসামি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে বাড়ি থেকে তুলে এনে হাতকড়া লাগিয়ে হাত ও পা বেঁধে নির্যাতন চালায়। দোকান ভাঙচুর করে আগুন লাগানো হয়। পরে তাকে পুলিশ পিকআপে করে সখীপুর কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়। এ সময় উপপরিদর্শক বসিরউদ্দিন ও উপপরিদর্শক জিয়াউল হক তার ডান হাঁটুতে দুই বার গুলি করে হাড় গুড়িয়ে দেয়। পরে তাকে মৃত প্রায় অবস্থায় সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার ডান পা কেটে বাদ দিতে হয়। এখন তাকে পঙ্গুত্ব নিয়ে চলাচল করতে হয়। এ ঘটনায় উপপরিদর্শক বসির উদ্দিন বাদী হয়ে তার নাম উল্লেখসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় জিআর-১৫৫/১৩ নং মামলা দায়ের করেন। যাহা এখনো বিচারাধীন। এ মামলায় বাদী ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে ছিলেন।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুস সামাদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বাআলো/এস