জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: জেলায় আগামী ১৬ মে (২ জ্যৈষ্ঠ) থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে। সোমবার (১৩ মে) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় জেলা প্রশাসন, কৃষি কর্মকর্তা, আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ড: কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিফতরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা, চুয়াডাঙ্গা সদর কৃষি কর্মকর্তা আফরিস বিনতে আজিজ, দামুড়হুদা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, জীবননগর কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, চুয়াডাঙ্গা আম ব্যবসায়ীর সভাপতি আব্দুস কুদ্দুস মহলদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, সহ-সাধারণ সম্পাক লাজুক, মার্কিটিং অফিসার সহিদুল ইসলামসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ১৬ মে (২ জ্যৈষ্ঠ) থেকে আটি, গুটি ও বোম্বাই জাতের, ২৪মে(১০ জ্যৈষ্ঠ) থেকে হিমসাগর, ৩০ মে (১৭ জ্যৈষ্ঠ) থেকে ল্যাংড়া, ৭ জুন (২৪ জ্যৈষ্ঠ) আম রূপালি (বারি-৩) জাতের, ১৫ জুন (১ আষাঢ়) থেকে ফজলি জাতের ও ১ জুলাই (১৭ আষাঢ়) থেকে আশ্বিনা (বারি-৪) জাতের আম সংগ্রহ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের গাছ কর্তন, জব্দ করলেন ইউএনও
সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড: কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, কোনো অবস্থাতেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ক আম পাড়া যাবে না। তাছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় আম পাকানো হলে বা পাকানোর উদ্দেশ্যে মজুদ করা হলে ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এবং নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো জানান, জেলা ব্যাপী আম সংগ্রহের সুূচি ব্যাতিত কেউ অপরিপক্ক আম পাড়তে পারবেন না। কেউ যদি এর ব্যপ্তয় ঘটায় তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসাণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, জেলায় এ বছর চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো দুই হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে এবং সেখানে আবাদ হয়েছে দুই হাজার ৩০৪ হেক্টর জমিতে। এসব জমি থেকে হেক্টর প্রতি আম উৎপাদন হবে ১৩/১৪ মেট্টিকটন। আম উৎপাদন হবে ৩০ হাজার মেট্টিক টন।
তিনি জানান, ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করলে আনুমানিক বাজার মূল্য হবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।
স্বাআলো/এস