ঝিনাইদহে ১১টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দক্ষিণবঙ্গের আন্ত:জেলা চোরচক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই ১১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার (এসপি) আজিম-উল-আহসান জানান, ঝিনাইদহ শহর থেকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় গত মাসের ২২ তারিখে সদর থানায় মামলা করা হয়। এরপর গোপন তথ্যে পরদিন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানা এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরির দক্ষিণবঙ্গের আন্ত:জেলা চোরচক্রের মূলহোতা মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে জড়িত আরো দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা এই অঞ্চলের ১৮টি জেলায় মোটরসাইকেল চুরির সাথে জড়িত। পরে গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ, শ্যামনগর, আশাশুনিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই ১১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলগুলো পর্যায়ক্রমে তাদের মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়।
সেসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইমরান জাকারিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) এসএম রাজু আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মীর আবিদুর রহমান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন উদ্দিন, এসআই ফরিদ হোসেনসহ পুলিশের উদ্ধতন কর্মকর্তারা।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, সাতক্ষীরা জেলার বংশিপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী, ভ্যাটখালী গ্রামের মনিরুজ্জামান, খুলনা জেলার চালনা গ্রামের হেলাল।
মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া সহ বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে।
স্বাআলো/এসএ