মামলার অভিযোগে এমবাপ্পে বলেছেন, পিএসজি এখনো তার প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ইউরো (৬১ মিলিয়ন ডলার) বকেয়া বেতন পরিশোধ করেনি। আর্থিক বকেয়ার পাশাপাশি আচরণগত দিক থেকেও ক্লাব তাকে ‘নানাভাবে অপমান ও হেয়’ করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন এই বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
এমবাপ্পের অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ মৌসুম শুরুর আগে তিনি চুক্তি নবায়নে রাজি না হওয়ায় ক্লাব তাকে মূল দল থেকে বাদ দেয়। এমনকি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরেও তাকে দলের সঙ্গে নেওয়া হয়নি এবং অনুশীলনেও অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয়। এমবাপ্পে এটিকে একধরনের একঘরে করে রাখা বা ‘লোফটিং’-এর ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি মনে করেন, পিএসজির এই আচরণ কেবল পেশাগত বৈষম্য নয়, এটি এক ধরনের ‘নৈতিক হয়রানি’।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে পিএসজির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আর্থিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন এমবাপ্পে। যদিও ক্লাব তাকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি বোঝাতে চেয়েছিল, কিন্তু চুক্তির প্রকৃত মেয়াদ ছিল ২০২৪ সাল পর্যন্ত, সঙ্গে অতিরিক্ত এক বছরের অপশন ছিল। ২০২৩ সালের জুনে এমবাপ্পে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, তিনি সেই অতিরিক্ত মেয়াদ আর নিতে আগ্রহী নন। এই ঘোষণার পর পিএসজি শঙ্কায় পড়ে যায় যে ২০২৪ সালে এমবাপ্পেকে বিনামূল্যে হারাতে হতে পারে। এখান থেকেই ক্লাব ও খেলোয়াড়ের মধ্যে নজিরবিহীন টানাপোড়েনের শুরু।
এমবাপ্পের দাবি, পিএসজি তাকে আগে দলবদলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যা তারা পরে মানেনি। পিএসজি অবশ্য এমবাপ্পেকে সহজে ছাড়তে রাজি ছিল না। এমনকি সৌদি ক্লাব আল হিলালের কাছ থেকে আসা ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর রেকর্ড প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এমবাপ্পে। এই দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন এবং ক্লাবের আচরণ নিয়েই এমবাপ্পে শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ে নামলেন।
স্বাআলো/এস