তিনি জানান, সিএমএম আদালতের জামিন নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সকালে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আমরা জামিনের আবেদন দাখিল করেছি। এদিন বিকালে জামিন আবেদনের শুনানির তারিখ পেতে পারেন।
এর আগে, গত ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে হত্যা ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, সামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ফরহাদ হালিম ডুনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন এর শীর্ষ নেতা কর্মীরা হাতে লাঠিসোঁটা, লোহার রড, ইট পাটকেল ও ককটেলসহ বিভিন্ন অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাস ভবনের সামনে বেআইনি সমাবেশ করে রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয় ও মিছিল করতে থাকে। ওই সময় তরা বৈশাখী পরিবহনে বাসসহ একাধিক বাস, পিকআপ ভাঙচুর করে অনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এসময় মিছিলকারীরা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠিসোঁটা, লোহার রড, ইটপাটকেল এবং ককটেলসহ বেআইনি সমাবেশ করে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে রাস্তায় জনসাধারণের ও মানবাহনের চলাচলে প্রতিবন্ধকরা সৃষ্টি করে।
স্বাআলো/এসএ