সম্পাদকীয়: দেশে সড়ক দুর্ঘনার যে চিত্র তাতে সেদিন মনে হয় বেশি দূরে নয় যেদিন সড়কে প্রাণ ঝরার সংখ্যা স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে বেশি হবে।
দুর্ঘটনায় প্রাণ ঝরার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু হাল আমলে একটি দুর্ঘটনায় বহু সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। চলতি মাসে মাত্র ছয়দিনের ব্যবধানে ১৮ মার্চ সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দরবস্ত এলাকায় জৈন্তাপুরে পিকআপ ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার পশ্চিম ঠাকুরের মাটি গ্রামের সন্তোষ পাত্রের মেয়ে মঙ্গলী পাত্র (৫০), নন্দ পাত্রের স্ত্রী সাবিতি পাত্র, সুচিতা পাত্রের শিশু মেয়ে বিজলী (৬ মাস), কৃষ্ণ পাত্রের স্ত্রী সুষ্মিতা পাত্র ও সুকেন্দু পাত্রের ছেলে ঋতু পাত্র।
এ ঘটনার দিন আগে ১২ মার্চ আরো একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় চারজন প্রাণ হারান। এই ঘটনাটি ঘটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার ইলিয়াটগঞ্জে। মাছবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে চারজন নিহত হন।
নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলার রফিকুল ইসলাম, ভোলা জেলার মনির হোসেন, হাবিবুর রহমান ও আক্তার হোসেন।
এর আগে ৮ মার্চ পিরোজপুর-পাড়েরহাট সড়কের ঝাউতলায় যাত্রীবাহী বাস চাপায় অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সাতযাত্রী নিহত হন।
একটি সড়ক দুর্ঘটনায় এক সাথে এতো মানুষ মারা যাবে তা মেনে নেয়া যায় না। জৈন্তাপুরের ঘটনায় বলা যায় নিহত পরিবারে স্বজন হারানোর বেদনায় কান্নার কেউ থাকলো না। যদি স্থানীয় জনতা উত্তেজনা বশতো ওই ঘাতক বাহন ভাঙচুর করে বসতো তাহলে ভাঙচুরের অপরাধে পুলিশ মামলা করতো এলাকার সাধারণ নিরীহ মানুষের নামে। ফ্রিস্টাইলে ঘটে চলেছে সব কিছু। এক একটি দুর্ঘটনা ঘটে আর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় অপরাধী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু সে ব্যবস্থা আর জনসাধারণ চোখে দেখে না। আমরা জানিনা আর কতো প্রাণ এভাবে গেলে পরিবহন শ্রমিকরা নিয়ন্ত্রণে আসবে। বন্ধ হবে তাদের বেপরোয়া ভাব।
স্বাআলো/এসআর