ঢাকা অফিস: সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের আরো নেতা নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
মঙ্গলবার (১১ জুন) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করা হয়েছে। বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল।
পুলিশের একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এমপি আনার হত্যা: এবার জেলা আ. লীগের সম্পাদক মিন্টু আটক
হারুন অর রশীদ বলেন, আমাদের ডিবি লালবাগ বিভাগ মামলাটির তদন্ত করছে। ভারতে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আমাদের দুই দেশের উদ্দেশ্য অভিন্ন।
মামলার তদন্তে আমরা আসামিদের সঙ্গে কথা বলেছি। ভারতে গ্রেফতার আসামির সঙ্গে কথা বলেছি, বাংলাদেশে গ্রেফতার মূল ঘাতক শিমুলসহ অন্যরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তথ্য-উপাত্ত বিচার-বিশ্লেষণ করে আমরা মনে করেছি, ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনেছি, রিমান্ডে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এমপি আনার হত্যা: ফেঁসে যাচ্ছেন একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডটি ভারতে যারা ঘটিয়েছেন, মোটা দাগে তারা সবাই বাংলাদেশি। হত্যাকাণ্ডের পর তারা সবাই বাংলাদেশে এসেছেন। এসে হত্যাকাণ্ডের ছবি বা বিভিন্ন বিষয় বিভিন্নজনের কাছে শেয়ার করেছেন কিনা, তা তদন্ত করছি।
সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হলে অনেকেই গ্রেপ্তার হতে পারেন। সেই সঙ্গে এমপি আনারের মরদেহ শনাক্ত হলে অনেক কিছুই প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
আনার হত্যা: সেপটিক ট্যাংক থেকে মানুষের মাংস উদ্ধার
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের এ পর্যায়ে ভারতের কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা মাংসের টুকরাগুলো মানুষের বলে জানা গেছে। তবে সেগুলো এমপি আনারেরই কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়। ডিএনএ পরীক্ষার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
স্বাআলো/এস