যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুল মান্নান (৫৫) নামের এক ওয়ার্ড বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় তার স্ত্রীও গুরুতর আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৩ জুলাই) দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মান্নানের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত আব্দুল মান্নান উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের ডুমুরখালি গ্রামের বাসিন্দা এবং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তিনি ওই গ্রামের এজহার মোড়লের ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শনিবার বিকেলে আব্দুল মান্নানের ছোট ভাই আব্দুল হান্নানের ছেলে রহমতউল্লাহ ধারালো দা দিয়ে আব্দুল মান্নান ও তাঁর স্ত্রী ফুলি বেগমকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
হামলার পর স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দিবাগত রাতে আব্দুল মান্নান মারা যান।
এই ঘটনায় মনিরামপুর থানা বিএনপির সহসভাপতি ও হরিহরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সাত্তার বলেন, আব্দুল মান্নান সব সময় পারিবারিক বিরোধ মিটিয়ে রাখতে চাইতেন, কিন্তু ছোট ভাই হান্নান ও তার পরিবারের অসহযোগিতায় বিষয়টি তীব্র রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত মান্নান ভাইকে প্রাণ হারাতে হলো।
এদিকে, হামলার পরপরই অভিযুক্ত রহমতউল্লাহ ও তার বাবা-মা আব্দুল হান্নান ও রেশমা খাতুননিজেদের আহত দাবি করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। তারা পুলিশের নজরদারিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত তিনজন- আব্দুল হান্নান, তার স্ত্রী রেশমা খাতুন এবং ছেলে রহমতউল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
স্বাআলো/এস