নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রিয়ন্তী দে নামে একজনের লাশ নিয়ে টানাটানি করেছে স্বামী ও বাবার পক্ষ।
শনিবার শহরের চুড়িপট্টিতে স্বামীর বাড়িতে ওই নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
রবিবার (১৪ জুলাই) ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বামী নয়ন দে ও পিতা দিলীপ দে নিজ বাড়িতে দাহ করবে বলে দাবি করেন।
পুলিশ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিহতের বাবার কাছে লাশ হস্তান্তর করেন।
নিহতের কাকা চঞ্চল দে জানান, এক বছর আগে চুড়িপট্টির নয়ন দের সাথে তার ভাতিজি খুলনার রূপসা উপজেলার তালিমপুর গ্রামের প্রিয়ন্তী দের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মেয়েকে যৌতুকের টাকার জন্য নির্যতন করতো স্বামী নয়ন দে। মেয়ের সুখের কথা ভেবে জামাতাকে তারা টাকা দিয়ে শহরের চুড়িপট্টিতে দোকান করে দিয়েছেন। তারপরও নির্যাতন বন্ধ করেনি ছেলের পরিবার।
তিনি দাবি করেন, শনিবার স্বামীর বাড়িতে পিয়ন্তীকে মারধর করে মুখে কীটনাশক ঢেলে এলাকায় প্রচার করে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনালের হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় প্রিয়ন্তীর। কিন্তু মেয়ের বাড়িতে খবর দেয়া হয়েছে রবিবার সকালে। শনিবার যদি মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে কী আড়াল করতে রবিবার তাদের খবর দেয়া হলো প্রশ্ন মৃতের বাবার পক্ষের।
স্বামী নয়ন দে জানান, ওই দিন তাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী ছিলো। স্ত্রীকে সময় না দেয়ায় অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন। তাকে কেউ হত্যা করেনি।
স্বাআলো/এস