সাতক্ষীরায় রবিউল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীর সাবেক স্ত্রীসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
রবিউল ইসলাম কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর গ্রামের মৃত সুরাত আলীর ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, বিষক্রিয়ায় এক ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে এবং রাত থেকে মৃত ব্যক্তির মরদেহ গ্রহণ করতে কেউ আসে নি। বিষয়টি জানার পর তদন্তে নামে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ। মৃতের পকেট থেকে পাওয়া একটি কাবিননামা থেকে তার পরিচয় নিশ্চিত করা যায়। রাতে মৃতের ভাইরা ভাই মশিয়ার রহমান (৩৭) ও সোমবার ভোরে সাবেক স্ত্রী ইয়াসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সদর থানায় নেয়া হয়েছে। মশিউর রহমান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দক্ষিণ দিহং গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সরদারের ছেলে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদুজ্জামান জানান, হাসপাতালের সামনে অবস্থিত হার্ট ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার দেবব্রত সরকার রাতে রবিউল নামের এক রোগীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। এসময় তার মুখে সাদা সাদা ফেনা ওঠা ছিলো। পরে তাকে ইসিজি পরীক্ষার মাধ্যমে চেক করে দেখা যায় হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু ঘটেছে। বিষক্রিয়া অথবা ভিন্ন কোনো কারণে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি ।
হার্ট ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার দেবব্রত সরকার বলেন, রবিবার রাতে মশিউর রহমান নামের এক ব্যক্তি বুকে ব্যথার কথা বলে রবিউল ইসলামকে ক্লিনিকে ভর্তি করে। কিন্তু লোকটির আচরণ রহস্যজনক ছিলো। হার্ট ফাউন্ডেশনের ডিউটি ডাক্তার শরিফুল ইসলাম সোহেল রোগীকে দেখে বলেন তার অবস্থা আশঙ্খাজনক। তখন রবিউলকে সদর হাসতাপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে ওই মৃত ব্যক্তির মরদেহ সদর হাসপাতালে দিয়ে আসা হয় এবং তাকে নিয়ে আসা মশিয়ার রহমানকে সদর থানা পুলিশে দেয়া হয়।
স্বাআলো/এসএ