যশোরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বড়গোপালপুর গ্রামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ মে) নিজ শয়নকক্ষে সুমনা (২৮) নামের ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
তার স্বামী হৃদয় দাবি করছেন, সুমনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে সুমনার পরিবার এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবে মানতে নারাজ এবং এটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলে অভিযোগ তুলেছে।
হৃদয়ের পরিবারের ভাষ্যমতে, ঘটনার সময় সুমনা মোবাইলে তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত কারণে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তিনি ফোন রেখে দেন। এরপর কিছু সময় পর তার শয়নকক্ষ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোরে কোরবানির পশু কিনতে এসে হামলায় আহত, আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই
অন্যদিকে, সুমনার স্বজনদের অভিযোগ, এটি নিছক আত্মহত্যা নয়, বরং স্বামী হৃদয়, শ্বশুর ও শাশুড়ির যৌথ পরিকল্পনায় সংঘটিত একটি নির্মম হত্যা।
নিহতের বড় ভাই জানান, বোনের সুখের কথা চিন্তা করে তারা জমি বিক্রি করে জামাই হৃদয়কে একটি গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন এবং সংসারের যাবতীয় আসবাবপত্রও দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট ছিল না হৃদয়। আরও টাকার দাবিতে সে সুমনাকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।
সুমনার স্বজনরা আরো প্রশ্ন তুলেছেন, সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার মশারির স্ট্যান্ডে কেউ কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারে? তারা দাবি করেন, নিহতের শরীরে, মুখমণ্ডল এবং অন্যান্য অংশে রক্ত জমাট বাঁধার চিহ্ন রয়েছে, যা মারধরের প্রমাণ।
ঘটনাটি এলাকায় শোক ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সুমনার পরিবার এই মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের বিচার দাবি করেছে।
স্বাআলো/এস