রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অন্যতম মূলহোতা নান্নুকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, র্যাব-১০ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে নান্নুকে গ্রেফতার করে এবং র্যাব-১১ তাদের সহযোগিতা করে। এ বিষয়ে বিস্তারিত র্যাব-১০ জানাবে।
র্যাব জানায়, হত্যাকাণ্ডের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যে চারজনকে ইট ও সিমেন্টের ব্লক দিয়ে সোহাগকে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে দেখা যায়, নান্নু তাদের মধ্যে একজন। এই নিয়ে এই মামলায় মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হলো।
এর আগে রবিবার ঢাকা ও নেত্রকোণা থেকে সজীব ও রাজীব নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।
নৃশংস হত্যাকাণ্ড:
গত বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনের ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কয়েকজন যুবক সোহাগকে ডেকে নেয়। পরে তাকে বেধড়ক পেটানো হয় এবং ইট-পাথর দিয়ে তার মাথা ও শরীর থেঁতলে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে তার শরীরের ওপর উঠেও লাফাতে দেখা যায় হামলাকারীদের।
নিহতের পরিচয় ও মামলার প্রেক্ষাপট:
নিহত সোহাগ ওরফে লাল চাঁদ পুরান ঢাকার একজন ভাঙারি ব্যবসায়ী ছিলেন এবং পুরোনো তামার তার ও অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবসা করতেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তিনি একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার ১৪ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ১১ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
এই হত্যা মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, চাঁদাবাজির জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। র্যাব ও পুলিশ মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
স্বাআলো/এস