চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস ধরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে ইউএনডিপিসহ ১৮টি উন্নয়ন সহযোগী দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল সানাউল্লাহ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী আর্লিয়েস্ট ডেটটা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আমাদের অবস্থান এখনো অপরিবর্তিত। আমরা ডিসেম্বরকে ধরে নিয়েই আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আমাদের ভিন্ন প্রস্তুতি নেই, একটিই প্রস্তুতি (জাতীয় নির্বাচন)।
স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, পাঁচ স্তরের স্থানীয় নির্বাচন করতে এক বছরের মতো সময় লাগে। স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে সম্ভব না। স্থানীয় নির্বাচন আগে করতে হলে, জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যাবে। কমিশনের অগ্রাধিকার জাতীয় নির্বাচন।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোনো কোনো ইনস্টিটিউশনের হবে সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখন বলতে পারবো এটা জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে, নাকি করবে না। তার আগে সম্ভব না।
ইউএনডিপির প্রতিনিধিসহ ১৮টি উন্নয়ন সহযোগী দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এই বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনসহ অন্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া বৈঠকে জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
স্বাআলো/এস