সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মাহমুদিয়া দাখিল মাদরাসায় ৪৬ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। মাদরাসাটি চলছে জরা জীর্ণ ভবনে। তার ওপর আসবাবপত্রের অভাবে শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করে। খেলার মাঠ, স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন কিছুই নেই। এই মাদরাসাটির যা অবস্থা তাতে যে কোনো সময় রানা প্লাজার মতো হুড়মুড় করে ভেঙে পড়তে পারে এমন আশংকার ভেতর আছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। যদি ভেঙে পড়ে তখন দেখা যাবে কর্তৃপক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থন করে নানা কথা বলছেন।
আমরা জানি, মাদরাসাটি কারো ব্যক্তিগত নয়। ১৯৭৭ সালে স্থাপিত মাদরাসাটিতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী পড়পশুনা করে। ৬০ শতক নিজস্ব জমির ওপর মাদরাসাটি অবস্থিত। বিভিন্ন সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ কানে তোলেনি বিষয়টি। শিক্ষা বিভাগ ইচ্ছা করলে সব কিছু করতে পারে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে যারা লেখাপড়া ও শিক্ষকতা করেন তারা কী অবস্থায় আছেন, সে খোঁজ রাখেন না? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বটা কি তা স্বাভাবিক কারণে প্রশ্ন হয়ে দেখা দেয়। যাদের ওপর দায়িত্ব তারা আলিশান অফিসে কাজ করছেন। তারা বুঝতেই চান না সাধারণ স্তরের সমস্যা। আলোচ্য বিযয়টি শিক্ষা সংক্রান্ত হলেও তার প্রতি কর্তৃপক্ষের এ অবহেলা ও উদাসিনতা দুঃখজনক। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো ভঙ্গুর ভবন সংষ্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হোক।
স্বাআলো/এসএস