হরতাল পরবর্তী নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেনে, ৮৪ জন গ্রেফতারের পর নতুন করে আরো ৩৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে, রবিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা সরকারবিরোধী আন্দোলনের সাথে জড়িত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে উপজেলার নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার এমপি রোডে হরতালের সমর্থকরা গাছের গুঁড়ি ফেলে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পুলিশ গাছের গুড়ি সরাতে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় রবিবার রাতে সড়কে ব্যারিকেড ও পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে সেনবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম বাদী হয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৪৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।
অপরদিকে, হরতালের আগের দিন রাতে উপজেলার সেবারহাট এলাকায় ট্রাকে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চালক ওমর ফারুক বাদী হয়ে থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরো অনেককে।
সেনবাগ থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিঠুন কুমার মন্ডল বলেন, ট্রাকে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চালক ওমর ফারুক বাদী হয়ে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সড়কে ব্যারিকেড ও পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে সেনবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম বাদী হয়ে ৪৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। এর মধ্যে ওই মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইটি মামলায় অজ্ঞাত আরো অনেককে আসামি করা হয়েছে।
স্বাআলো/এসএ