যশোরের ৬টি সংসদীয় আসনের ৪৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে ২৮ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর ১৮ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবরাউল হাছান মজুমদার।
জানা গেছে, যশোর-১ (শার্শা) আসনে এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় স্বাক্ষর ক্রটির কারণে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন ও নাজমুল হাসানের। আর সিআইবি ঋণ খেলাপির জামিনদার থাকায় জাতীয় পার্টির আক্তারুজ্জামানের মনোনয়নও বাতিল করা হয়েছে।
এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ও জাকের পার্টির সবুর খানের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যশোর-২ আসনে এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় স্বাক্ষর ক্রটির কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম হাবিবুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এছাড়াও টিন নম্বর না থাকা ও আয়কর দাখিল না করায় বাংলাদেশ ন্যাশালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রার্থী শামছুল হকের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তৌহিদুজ্জামান তুহিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাড. মনিরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির ফিরোজ শাহ, জাকের পার্টির সাফাউজ্জামান ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আব্দুল আওয়ালের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যশোর-৩ (সদর) আসনে এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় স্বাক্ষর ক্রটির কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম মিলন ও মোহিত কুমার নাথের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া হলফনামা ও আয়করের তথ্যের ত্রুটি থাকায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী তৌহিদুজ্জামান, তৃণমূল বিএনপির কামরুজ্জামান, জাকের পার্টির মহিদুল ইসলামের এবং বিদ্যুৎ বিল না দেয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী শেখ নুরুজ্জামানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মারুফ হাসান কাজল, জাতীয় পার্টির মাহবুব আলম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সুমন কুমার রায়ের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যশোর-৪ আসনে এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় স্বাক্ষর ক্রটির কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী সন্তোষ কুমার অধিকারী মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত এনামুল হক বাবুল, তৃণমূল বিএনপির লে. ক. (অব.) এম শাব্বির আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সুকৃতি কুমার মন্ডল, ইসলামী ঐক্য জোটের ইউনুছ আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী রনজিৎ কুমার রায়, জাকের পার্টির লিটন মোল্লা ও জাতীয় পার্টির জহুরুল হকের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যশোর-৫ আসনে এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় স্বাক্ষর ক্রটির কারণে কামরুল হাসান বারী, আমজাদ হোসেন লাভলু, হুমায়ূন সুলতান এবং সমর্থনকারী অন্য নির্বাচনী আসনের ভোটার হওয়ায় জাকের পার্টির হাবিবুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী, ইসলামী ঐক্য জোটের নুরুল্লাহ আব্বাসী, তূণমুল বিএনপির আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা ও জাতীয় পার্টির এমএ হালিমের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যশোর-৬ আসনে এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় স্বাক্ষর ক্রটির কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম ও আয়কর ফরমে ত্রুটি থাকায় আজিজুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত শাহীন চাকলাদার, জাতীয় পার্টির জিএম হাসান, জাকের পার্টির সাইদুল জামান, স্বতন্ত্র এইচএম আমির হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যশোর জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, ৬টি আসন থেকে ৪৬ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৮ জনের মনোনয়ন বৈধ পাওয়া গেছে। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে আপিল করতে পারবেন।
স্বাআলো/এসএ