জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল: নড়াইলে কালিয়া উপজেলার পড়েলী গ্রামে আজাদ হত্যা মামলার আসামি ও তাদের স্বজনদের বাড়ি আসা নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে গ্রামটিতে।
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে শনিবার (১৫ জুন) র্দীঘ ১১মাস বাড়ি ছাড়া প্রায় দুইশত পরিবারের প্রায়
পাঁচশত নারী-পুরুষ ও শিশু নিজেদের বাড়ি প্রবেশ করতে চাইলে নিহত আজাদের ভাই সাজ্জাদ ও উজ্জ্বলের নেতৃত্বে তাদের দলীয় লোকজন মহসিন মোড় বাজার এলাকায় দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশে বাঁধা দেয় বলে জানান প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলাম ।
নড়াইলে ঘের থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার
শহিদুল ইসলাম আরো জানান, তাকে ও তাঁর দলের লোকজনকে হত্যার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা যখন শনিবার নিজ নিজ বাড়ি প্রবেশের জন্য ইছামতি দিয়ে বাড়ির দিকে এগুচ্ছি তখন আমাকে হত্যার উদ্দশ্যে প্রতিপক্ষ সাজ্জাদ, উজ্জ্বল, নয়ন ও তাঁর লোকজন একটি ব্যাগে বোমা দিয়ে তাদের দলীয় জিহাদুল (১৬) ও টুটুল মোল্যা (১৫) নামে দুই কিশোরকে পাঠিয়ে দিয়ে বলে জানান শহিদুল।
খবর পেয়ে বাশুয়াড়ি ক্যাম্পের অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোকারম হোসনে ঘটনাস্থলে এসে ওই দুই কিশোরকে আটক করে নিয়ে যায়।
একদিকে সংঘাতের আশঙ্কা, অপরদিকে বাড়ি আসতে না পেরে অনেকেই ঈদ আনন্দ ম্লান হতে চলেছে বলে জানান ভূক্তভোগী একাধকি ব্যাক্তি।
নড়াইলে মোটরসাইকেল ও ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ, স্কুলছাত্র নিহত
সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালরে ২০ জুলাই আজাদ শেখ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শহিদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে মোট ২০জনকে আসামি করে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়। মামলার আসামিরা বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছে । হত্যাকান্ডে পরর্বতীতে মামলার বাদীপক্ষে লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর সহ ব্যাপক তাণ্ডবলীলা চালায়। হামলার ভয়ে অনেকে বাড়ির ফেলে অন্যত্র আশ্রয় নেন। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিপক্ষ এর তান্ডবে ১১ মাস বাড়ি ছাড়া বলে জানান অবসরপ্রাপ্ত সৈন্য সদস্য লাল্টু ভূঁইয়া।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ সাজ্জাদ হোসনে জানান, আমরা কাউকে বাড়ি উঠতে বাঁধা প্রদান করেনি। এলাকায় শান্তি ফিরে আসুক, এটাই আমরা চায়। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এ সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
পড়েলি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) উপ-পরিদর্শক আজিজ জানান, পুলিশ মহসিন মোড় বাজার এলাকা পরিদর্শন করছে।কেউ আইন-শৃংখলার অবনতি ঘটাতে চাইলে তাকে ছাড় হবে না। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বাআলো/এস