রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহী মহানগরের চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম তার অফিসে বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে খাম আদান-প্রদান করছেন—এমন একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ওসি তার অফিসে নিজের চেয়ারে বসে রয়েছেন। সামনে থাকা এক ব্যক্তি তার কাছে একটি খাম চান। এ সময় ওসি তার ড্রয়ার থেকে খাম বের করে দেন। পরে ওই ব্যক্তি সেই খামে অর্থ পুরে খামটি এগিয়ে দিলে ওসি সেই খাম তার ড্রায়ারে ঢোকান।
এ সময় ওই ব্যক্তি ওসিকে উদ্দেশ করে বলেন, মাহাবুব (ওসি) ভাই আপনি আমাকে চেনেন, জানেন, বোঝেন। আমি বিপদে পড়েছি বলে আপনার কাছে এসেছি। আমি সবসময় বিপদেই পড়ি। আরেকদিন এসে বলবো ও আমাকে কী পর্যায়ে পেরেশানির মধ্যে রেখেছে। যদি অফিশিয়ালি সলিউশন করেতে পারতাম আমি! সে জিএম সাহেবের কাছে ৪০ জন লোক নিয়ে গেছে রিমুভ ফ্রম সার্ভিস করার জন্য আমার বোনের। আমি আপনাকে কী বোঝাবো।’ ওসি কথাগুলোর ফাঁকে খামটি ড্রয়ারে ঢুকিয়ে ওই ব্যক্তির উদ্দেশে বলেন, ‘এর আগেরটাতেও আমি আপনাকে হেল্প করেছি।
ওসির কাছ থেকে খাম নিয়ে আবার ওসিকে ফেরত দেয়া ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এই ভিডিও সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি মাহবুব আলম বলেন, ‘আমার সম্পর্কে জানেন। আমি পাবলিকের কাছ থেকে টাকা খাই না। কার সঙ্গে এ রকম কথা হয়েছে, সেটা মনে করতে পারছি না। তবে একজনের কাছ থেকে খামে ভরে ছিনতাইকারীদের তালিকা নিয়েছিলাম। ওই খাম ওইভাবেই আছে। সেই তালিকা নেওয়ার ভিডিও হতে পারে।’
খামে ভরে টাকা নেয়ার অভিযোগ অসত্য দাবি করে ওসি মাহবুব আলম বলেন, এটা নিয়ে আমি ঝামেলায় আছি।।অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। খামের মধ্যে কোন টাকা ছিলো না। কাগজ ছিলো।
এদিকে ২০২১ সালে এই ওসির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে এক নারী পুলিশ পরিদর্শকের স্বামীকে সাজানো মামলায় গ্রেফতার দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। এর প্রতিকার চেয়ে ওই বছরের ২৪ মার্চ রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা।
স্বাআরো/এস/বি