সম্পাদকীয়: কিছু দল শুধু সমালোচনা করতে জানে। যারা বলেন, দেশে উন্নয়ন নেই তারা কি চোখ মুদে আছে? অথচ তারা দেশের মানুষের উন্নয়নে দৃশ্যমান কোনো কাজ দেখাতে পারেনি । তাদের অব্যাহত সমালোচনার মধ্যে দেশের উন্নয়নের সাথে আর একটি উন্নয়ন সংযোজন হলো ভাঙ্গা-রূপদিয়া রেল যোগাযোগ।
এর পরেও তারা বলবে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে না মোটেও। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোরের রূপদিয়া পর্যন্ত প্রথম ধাপের পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সম্পন্ন হয়েছে।
৩০ মার্চ সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে আসা পাথর বোঝাই ট্রেনটি ১০টা ৩৫ মিনিটে রূপদিয়া স্টেশনে পৌছায়। আগামী জুন নাগাদ এই পথে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে এই রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন ট্রেন চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হয়ায় এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হয়েছে।
নতুন এ রুটে ট্রেন চলাচল মুরু হলে যশোর থেকে ঢাকার দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার কমবে। রূপদিয়া থেকে ট্রেনের কোনোটির হতিপথ যশোর হয়ে বেনাপোল আবার কোনোটির গতিপথ খুলনা অভিমুখে হবে। এতে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারিত হয়ায় এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়ায় এই অঞ্চলের মোট বাণিজ্যের বিকাশ ঘটবে। সীমান্ত সংযোগ স্থাপনের ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগের জন্য রেল যোগাযোগটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মতে দেশের প্রায় ৯০ ভাগ আমদানি পণ্য ভারত থেকে বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রতি বছর বেনাপোল দিয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে আমদানি বাড়ছে। রেল যোগাযোগ, কৃষিপণ্য, শিল্প-কলকারখানার ব্যাপক গুরুত্ব বেড়ে যাবে। অনেক উদ্যোক্তা এখনই সংশ্লিষ্ট সড়ক এলাকায় শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছেন। এ লক্ষ্যে অনেকে জমিও কিনেছেন।
স্বাআলো/এসআর