চলতি একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশন রবিবার (২২ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়ে ২৯ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা। জাতীয় সংসদের মেয়াদ আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত হলেও শেষ হতে যাচ্ছে এর অধিবেশন পর্ব।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে এই জাতীয় সংসদ। করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর এই সংসদের কার্যক্রম ছিলো অনেকটাই সীমিত। নতুন অভিজ্ঞতার মধ্যে অন্যতম ছিলো অধিবেশনের শুরুতেই কোভিড টেস্টের বাধ্যবাধকতা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর বসে বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক নিয়ে ভাষণ দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সংসদ সদস্যরাও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাতে অধিবেশনে একটি সাধারণ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে
সংসদের খরচের বিলের পরিমান নিয়ে প্রতিবেদন হয় প্রতিবছরই। এবার বিলের পরিমাণ ছিলো অনেক কম। সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া সংসদের ২৪তম অধিবেশনের হিসাব অনুযায়ী সংসদের মোট কার্যদিবস হয়েছে ২৬২ দিন। শেষ অধিবেশনে পাঁচ কার্যদিবস হলে সেটা দাঁড়াবে ২৬৭ দিনে।
এবার সর্বশেষ অধিবেশন পর্যন্ত ১৪০টি বিল পাস হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ে আরো ২২টি বিল পেন্ডিং আছে। সব মিলিয়ে একাদশ সংসদে পাস হওয়া বিলের সংখ্যা প্রায় ১৫০।
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বলেছেন, অক্টোবরে চলতি সংসদের আরেকটি অধিবেশন বসবে, সেটাই হবে শেষ অধিবেশন। এরপরই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সংবিধান মোতাবেক সংসদের একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন ডাকার বাধ্যবাধকতা আছে। সংসদের ২৪তম অধিবেশন গত ৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল কিংবা সাংবিধানিক সময়সীমার আগে ৬০ দিন সময় না থাকায় মাত্র ৩৭ দিনের মাথায় পরবর্তী (২৫তম) অধিবেশন ডাকেন রাষ্ট্রপতি।
স্বাআলো/এস