সম্পাদকীয়: নানাবিধ কারণে সামাজিক অস্থিরতা বাড়াছে। এতে মারামারি খুনোখুনি নিত্য দিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এমন অবস্থা থাকলে সমাজটা শান্তিপ্রিয় মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে।
সম্প্রতি যশোর ও কুষ্টিয়ায় প্রেমঘটিত বাপারকে কেন্দ্র করে দুইজনকে হত্যা করা হয়েছে। যশোরের শার্শা উপজেলার কন্যাদহ গ্রামে প্রেমঘটিত কারণে সাইফুল ইসলাম মুকুল (৪০) নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় নিহতের ভাই শরিফুল ইসলাম বকুল (৩৫) আহত হয়েছেন।
২২ মে রাত ১০টার দিকে শার্শা উপজেলার সাইফুল ইসলাম মুকুল ও তার ভাই শরিফুল ইসলাম বকুলকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফুল ইসলাম মুকুল মারা যায়। এ ঘটনায় হাসান মেম্বারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, হাসান মেম্বার (৩৫), তাজ উদ্দিন (৪৫) ও কামরুজ্জামান (৩৭)।
এ দিকে পরকীয়া প্রেমের কারণে কুষ্টিয়া শহরে ইকবাল হোসেন (৩০) নামের এক যুবককে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। ২৪ মে কুষ্টিয়া পৌরসভার আদর্শপাড়ার মজিবর রহমান সড়কের বাসিন্দা নাজিম উদ্দিনের বাসায় ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী নাজিমের স্ত্রীর সঙ্গে ইকবাল হোসেনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।
২৪মে দুপুরে এ ঘটনায় ইকবাল হোসেনকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। মানুষ এতটাই অস্থিরতায় ভুগছে যে কোন কিছু ঘটলে আইন ও বিচারের কথা না ভেবে পরবর্তীতে কি হতে পারে সেকথাও তাদের ভাববার অবকাশ থাকছে না। সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে গেলে একজনের সাথে একজনের মত পার্থক্য, দ্ব›দ্ব কলহ হতেই পারে। এসব বিষয় শান্তিপূর্ণ মীমাংসার জন্য আইন আছে, আছি বিচার ব্যবস্থা। সব ধর্মেও সাধানের পথ দেখানো আছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা, কে দেখে আইন, বিচার ও ধর্ম। আইন হাতে তুলে নিয়ে বিশৃখলা ঘটানো হচ্ছে। এতে সমাজে অশান্তিপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। দেশটা শান্তির নিবাস করতে হলে এসবের নিরসন জরুরী।
স্বাআলো/এস